খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেয়ারাতলী গ্রাম থেকে সাতঘরিয়া পর্যন্ত খালটিতে কয়েক বছর আগেও পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক ছিল। খালে মাছ ধরার পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকরা এর পানি কাজে লাগাতেন তদের ফসলি জমিতেও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেয়ারাতলী গ্রাম থেকে সাতঘরিয়া পর্যন্ত খালটিতে কয়েক বছর আগেও পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক ছিল। খালে মাছ ধরার পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকরা এর পানি কাজে লাগাতেন তদের ফসলি জমিতেও।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দখলদার আবদুল মমিন বলেন, এটাতো নির্বাচনকালীন আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এটা নির্বাচনের সময় থাকে এখানে। নির্বাচনকালীন আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়। এখানে দোকান যা, সবগুলো সরকারি খালের ওপর। আমরা আমির ভাই (সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম)-এর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এগুলো করেছি। আমাদের মোট পাঁচটি দোকানঘর রয়েছে বাজারে।
তার পাশেই রয়েছে যুবলীগ নেতা কোরবান আলীর আরেকটি দোকান ঘর। যেখানে রয়েছে একটি ওয়ার্কশপ। যেটি ভাড়া নিয়েছেন জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। জহিরুল বলেন, আমি কোরবান আলী ভাইয়ের দোকানঘরে ভাড়া থাকি। প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে ভাড়া দিই।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য দখলদার কোরবান আলী বলেন, আমার এখানে একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। প্রতিমাসে এক হাজার টাকা ভাড়া পাই আমি। তার পাশেই আরেকটি দোকানঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন আন্দিরপাড় গ্রামের ফিরোজ আলম সোহাগ। তিনি বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত।
এ বিষয়ে ফিরোজ আলম সোহাগের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি তার দোকানের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি আমার এক ভাইয়ের। তবে ভাইয়ের নাম বলা যাবে না। যেখানে রয়েছে একটি গুদাম। সেটি ভাড়া নিয়েছেন বুরপৃষ্ঠ গ্রামের সজিব।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সরকারি জায়গায় কোনো স্থাপনা থাকলে সেই বিষয়ে আমরা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।