 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    মনোহরগঞ্জ কুমিল্লা সংবাদদাতা:
চাঁদা দাবির মিথ্যা মামলা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা মামলার উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রহমত উল্লাহ জিকু। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরে একটি হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের আহ্বায়ক রহমত উল্লাহ জিকু তার লিখিত বক্তব্যে বলেন- প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা গত বৃহস্পতিবার দৈনিক আমার দেশসহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করে যা আমার দৃষ্টি গোচর হয়। আমরা জানি সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক এবং আমার ভাষায় একজন নিরীক্ষক, সে নিরীক্ষকদের কাছে দেশের জনসাধারণ সুস্থ, সত্য সঠিক সংবাদ সবসময় আশা করে থাকে কিন্তু সঠিক তথ্য বিশ্লেষণ না করে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার আশায় কোনো সংবাদ প্রচার করা মোটেই সমীচীন নয়। যে ব্যক্তিটি আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করে তাকে ব্যক্তিগতভাবে কখনোই চিনতামনা কিন্তু বিগত কয়েকমাস আগে মামলার ১নং আসামি আবু বকর সিদ্দিক আলমগীর আমার চাচাতো ভাইয়ের শ্বশুর আমাকে ফোনে জানান, একজন ব্যক্তির সাথে ওনাদের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, পরবর্তীতে বিরোধ সমাধানের লক্ষে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক বসে, বৈঠকে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে একটি সমাধানে পৌঁছায়। কিন্তু বেশ কিছুদিন হয়ে গেলেও সেটা বাবুল কার্যকর না করে তালবাহানা শুরু করলে জায়গার মালিক আবু বকর সিদ্দিক মনোহরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাড়িতে সালিশ বৈঠক হয়। সালিশে বাবুল দোষী প্রমাণিত হলেও সাত বছরের ভাড়া পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান। পরে জায়গার মালিক আবু বকর সিদ্দিক জায়গা ভাড়া দেবেননা বলে জানান এবং পরের দিন জায়গায় বেড়া দিতে গেলে বাবুল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জায়গার মালিককে বেধড়ক মারধর, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অথচ সেই ভাংচুরের ছবি ব্যবহার করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা করে। আমাকে রাজনৈতিক, সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে হয়রানি ও সম্মানহানি করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জায়গার মালিক মামলার ১নং আসামি আবু বকর সিদ্দিক আলমগীর, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাহারুল আলম বাবর, কামরুজ্জামান প্রমুখ।