পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় কবুতর চুরির অপবাদে সিয়াম ফকির (১১) নামে এক শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ফিরোজা বেগম (৫৫) ও তার কন্যা লাবনী আক্তারকে (২৬) আটক করেছে।
আটক ফিরোজা বেগম উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাঠি গ্রামের মৃত মন্নান মল্লিকের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তদের নিজ বাড়িতে।
ভুক্তভোগী সিয়ামের ফুফু কুরছিয়া বেগম জানান, ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি খবর পান তার ভাতিজা সিয়ামকে তাদের বাড়ির পাশের ফিরোজা বেগম (৫৫) ও তার কন্যা লাবনী আক্তার সকাল ৬টার দিকে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করছে। খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। তার সামনেই মা ও মেয়ে সিয়ামকে গাছের সাথে বেঁধে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টা মারধর করেছে। এ সময় তাকে (ফুফু) সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় রুবেল বেপারী জানান, ওই শিশুর মারধরের চিৎকার পেয়ে ওই বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন শিশুটিকে একটি সুপারি গাছের সাথে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। এ সময় ফিরোজা বেগম তাকেও মারধর করতে তেড়ে আসেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী সিয়াম জানায়, তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে মা-মেয়ে মিলে সুপারির গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। সে কবুতর চুরি করেনি বলার পরেও তাকে তারা মেরেছে।
অভিযুক্ত দুই নারী জানান, সিয়াম তাদের ২০টি কবুতর চুরি করেছে। তাকে কোনো মারধর করা হয়নি। শুধু বেঁধে রাখা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার জিনাত তাসনিম জানান, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার জানান, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগীকে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই শিশুকে মারধরের অভিযোগে মা মেয়েকে আটক করা হয়েছে।