কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ২৬/০৭/২৪ইং
——————————
ভাষার জন্যে লড়াই করে ‘৫২ তে
রক্ত ঝরিয়েছে যখন
সালাম,রফিক,সফিক, বরকত,জব্বার প্রমুখ
যায়নি বৃথা রক্ত তাদের
আমরা পেয়েছি রাষ্ট্র ভাষা বাংলা।
‘৭১ এ ঝরেছে অকাতরে প্রাণ
হারিয়েছি আমরা অনেক ইজ্জৎ
যায়নি বৃথা সেই ত্যাগও
আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা
পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন দেশ বাংলাদেশ।
নুর হোসেন দিলো জীবন এসে ‘৯০ তে
তাড়াতে স্বৈরশাসন ও স্বৈরাচার
যায়নি বৃথা নুর হোসেন এর রক্ত
স্বৈরাচার চালিয়েছিলো যতোই ষ্টীম রোলার।
মনে করে দেখো তোমরা
ইতিহাস কোনোটাই তোমাদের নয় অজানা
যারা এখন চালাচ্ছো ওদের মতো ক্ষমতা।
আজ নিয়েছ কেড়ে ২০২৪ এ দাঁড়িয়ে
আবু সাঈদ এর জীবন
জেনে রাখো এটাও যাবেনা বৃথা
ইতিহাস বলে কিন্তু সেই কথা
অন্যায়কারী কখনও পায় না ক্ষমা
শুধু সময় অসময় বলে আছে কথা একটা।
পাপ যত বেশি হবে
পাপীর বিনাশ তত তাড়াতাড়ি আসবে
কিন্তু পাপী তাহা বুঝতে চাইবেনা
কারণ পাপীর কাছে পাপটা তখন শুধুই উৎসবের।
তবুও জেনে রাখো তোমরা
আজ যারা দেখছো নির্বিকার হয়ে
সেদিনও হয়তো দেখবে
শহীদ আবু সাঈদ এর আত্মদান ও রক্ত বৃথা যায়নি এবং যাবেনা।।
—–@——-@——-
২)”ছলনাই এখন সম্বল “
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ২৪/০৭/২৪ইং
————————
আজ মনে জাগছে প্রবল ইচ্ছা
প্রেম করবো তোমার সনে
মানে ভালোবাসবো তোমায়
যাহা ভাবিনি আগে কখনও
যদিও তুমি চেয়েছো বারবার
তোমার প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাই।
তুমি চাইলেও পড়িনি ফাঁদে
কারণ চরিত্রগত ভাবে তুমি হচ্ছো বড্ড দুষ্ট
আপন স্বার্থে করতে আঘাত অন্যকে
তোমার নেই জুড়ি দ্বিতীয় আরেকটি।
কখন তুমি কাকে কর প্রেম নিবেদন
বুঝে উঠা যে খুবই মুশকিল
সামান্যতম গেলে তোমার মতের বিপক্ষে
তুমি যাও বিগড়ে
এমন চরিত্র যার
বল,কেন তাকে সবাই ভালোবাসবে ?
বহুদিন ধরে দেখেছি নিবিড়ভাবে
যারা তোমায় ভালোবাসে তাদেরকে
দেখেছি তারা বেশিরভাগই ধান্ধাবাজ তোমার মতো
তাই তারা টিকে যাচ্ছে
তবে অপবাদ ললাটে চরিত্রহীন নিয়ে
ঠিক তুমি যেমন আছো চরিত্রহীনা নিয়ে।
আর পারছিনা সহ্য করতে
একের পর এক তোমার ছলনা
তাই ভাবছি হয়ে যাবো তোমার মতো
যদি বাঁচাতে চাই অন্তত জীবনটা।
থাকবো চুপচাপ, বলবোনা কিছুই
বলেছি তো অ-নে-ক
শুনছো না তো কি-ছু-ই
বরং চলছো তুমি ক্রমাগত চোখ রাঙিয়ে।
তাই এলো বোধ হৃদয়ের
প্রেম করবো তোমার সনে ছলনা করে
মুখে রেখে হাসি,হৃদয়ে বিষ
আর সুযোগ বুঝে পাল্টাবো বোল
যখন তুমি চিৎপটাং হবে।
সেদিন নিবো প্রতিশোধ চরম
তখন অবাক নয়নে থাকবে তাকিয়ে তুমি
ভাববে কিন্তু বলার বাক্ শক্তি হারাবে!
হয়তো মনে মনে বলবে
এই ছিলো তোমার মনে
যাহা আমার মতো ছলনাময়ীকেও হার মানালে।।
——@——–@——-
৩)”ভয় পেয়েছো”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ৩০/০৭/২৪ইং
——————————
সবাইকে করে তুচ্ছ
তুমি ভাবছো তুমি স্বচ্ছ
কিন্তু তোমার চেহারা বলে অন্য কথা আজ
তোমাকে দেখাচ্ছে খুব চিন্তিত
মনে হচ্ছে মনে মনে তুমি ভীত
আপন কর্মের বুঝি দিতে হবে খেসারত
ভাবছো থাকতে জীবিত।
কষ্ট! কতো কষ্ট!!
দেখছো চটপটানি স্বচক্ষে অন্যের
করেছো উল্লাস নিজেও
রাঙিয়েছ চোখ বলতে চেয়েছে যখন কেউ
তোমার অনিয়মের বিরুদ্ধে।
তাই চেহারা বলে আজ পাচ্ছো ভয়
একই কষ্ট ও চটপটানি
যদি তোমার সহিতে হয় !
তবে কেমন করে করবে তাহা সহ্য
চেহারা বলে এখন
তোমার মনে তোমার পাপের শাস্তি নিয়ে ভয়।
আগেই বলেছিলাম বহুবার
পাপ বাপকেও ছাড়েনা
দম্ভ অহংকারে ফেটে পড়িস না
শুনোনি সেসব কথা কখনও!
তাই ভীত না হয়ে
শাস্তির জন্যে প্রস্তুত হও যেকোনো সময়।।
——-@——-@———
৪)”কালপ্রিট সে”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ২৫/০৭/২৪ইং
————————
পক্ষে থাকলে ঠিক আছে
বিপক্ষে গেলেই বেঠিক
চলছে এমন আজব রীতি
বর্তমানে বাংলাদেশ জুড়ে।
পাকিস্তান গেছে মরে
আমাদের এই পূর্ব পাকিস্তানে
স্বাধীন বাংলাদেশ পাবার পরে
ঐ সেই ১৯৭১ সালে।
তবু যারা আজ আনে টেনে
কথায় কথায় পাকিস্তানকে
বুঝতে কেনো হচ্ছে দেরি
তারাই মূলতঃ এখনও পাকিস্তানকে ভালোবাসে।
লেবাস ও কথনে মুক্তি
কিন্তু ভালোবাসে পাকিস্তান
তাই আমগুলো ছিলো ভালো এবং মিষ্টি
যখন পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
কেন দেয়নি ফিরিয়ে সেদিন আমগুলো
বলে রাজাকারের উপঢৌকন
সাহস হয় কি করে তার
পাঠাতে আমাকে এগুলো!
না, পারেনি বলতে
কারণ মনে মনে যে পাকিস্তানকে ভালোবাসে।
শুধু পারেনা বলতে প্রকাশ্যে এমন কথা
তাহলে যে জাতি জেনে যাবে তাঁর আসল রূপ
হয়ে যাবে প্রমাণ
আসলেই আসল কালপ্রিট সে।।
——@ —-@——-
৫)”নব্য রাজাকার”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ১৫/০৭/২৪ইং
——————————–
দেশ স্বাধীনে পার হয়েছে বছর তেপ্পান্ন
তার আগে ছিলাম আমরা বাঙালি
স্বাধীনতা লাভের পর পেলাম বাংলাদেশ
আমরা হলাম তাই বাঙালি হতে বাংলাদেশি।
তবু যারা এখনো বলে বেড়ায় তারা বাঙালি
তার মানে পারেনি মানতে তারা
বাংলাদেশ ও জাতীয়তা বাংলাদেশি।
মুখে বলে বাঙালি
কাগজ পত্রে বাংলাদেশি
তাই তাদের বাংলাদেশে ঠাঁই হওয়া উচিত না।
স্বাধীনতার পর পূর্ব বাংলা
নাম নিয়েছে বাংলাদেশ
যার জাতীয়তা হলো বাংলাদেশি
যারা এখনো মানেনা
তাই বলে মুখে শ্লোগানে বাঙালি বাঙালি।
তাদেরকেই বলি
দেখো খুলে তোমাদের এনআইডি ও পাসপোর্ট
কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন
দেখবে তোমরা নয় বাঙালি
আছে সেখানে তুমি বাংলাদেশি ।
বলো এবার দিবে কেনো পরিচয় নিজেকে
আমি বাঙালি আমি বাঙালি ?
তবে কি তোমরা বাংলাদেশের নব্য রাজাকার
যারা বুক ফুলে বলতে পারোনা আমি বাংলাদেশি ?
——-@———@———-
৬)”ভাবো সময় থাকতে”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ৩০/০৭/২৪ইং
——————————-
মতাদর্শ থাকতে পারে
কিন্তু তাহা অন্ধের মতো থাকা সমীচীন নয়
বিবেক আছে বুদ্ধি আছে
তাকে ভালো কাজে খাটাও।
করে দালালি করো না ক্ষতি
যাদের সাথে হয়েছো বড় ছোট্টবেলা হতে
সেই সব ভাই-বন্ধু,পাড়া-প্রতিবেশীর।
মনে রেখো তুমি
ক্ষমতা নয় চিরস্থায়ী
আজ আছো তো ধনী
আগামীকাল কিন্তু হতে পারো ফকির
সবই যে সৃষ্টিকর্তার হাতে।
তাই হও সংযত
খরচ কর বিবেক-বুদ্ধি
অন্ধের মতো হয়ো না আদর্শিক
যে আদর্শ করবে তোমাকে প্রশ্নবিদ্ধ।।
——@——-@——–
৭)”ভূলুণ্ঠিত করো না”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ১৩/০৭/২৪ইং
————————————–
স্বাধীনতার তিপ্পান্ন বছর পর
প্রশ্নবিদ্ধ আজ তোমরা
তোমাদের রেখে যাওয়া
বংশ পরম্পরা কিছু অপদার্থের জন্য।
যাদের কর্ম আজ জনসম্মুখে পরিস্কার
যোগ্যতা থাক বা না থাক
তোমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে করবে সব সাবাড়।
তাই বলো এবার
মুক্তিযুদ্ধ তুমি ছিলে কার ?
মুক্তিযোদ্ধা তোমরাই বা ছিলে কার ?
তোমাদের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা ও বিজয়
তোমরাই বা কার?
দাও উত্তর
তোমরা দেশের নাকি ব্যক্তি বিশেষের?
নাকি শুধু নিজ পরিবারের ?
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা,স্বাধীনতা ও বিজয়
হও যদি তোমরা ব্যক্তি বিশেষের
কিংবা শুধুই তোমার পরিবারের
তবে আপামর দেশবাসী
কেন করবে তোমাদেরকে
এবং তোমাদের অর্জনকে সম্মান ?
দাও উত্তর ওরে যোগ্যতাহীন বংশধর
তোমরা কি চাও
ভূলুণ্ঠিত হোক তোমাদের বাপ-দাদার
অর্জিত স্বাধীনতা, বিজয় ও সম্মান
শুধু তোমাদের যোগ্যতা হীনতার জন্যে ?
বাপ – দাদার নাম ভাঙ্গিয়ে পাচ্ছো তোমরা চাকুরি
অনিয়মের ছত্রছায়ায় গড়ছো অঢেল অর্থ-বাড়ি-গাড়ি
পড়ছো যখন ধরা
তোমাদের জন্যই হচ্ছে ভূলুণ্ঠিত তাদের সম্মান।
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা ও বিজয়
সত্যি অম্লান ও মহাণ
করো না তোমরা উত্তরসূরি হিসাবে
সামান্য লোভে সবকিছুকে ম্লান
তবেই তোমরা আপামর জনতার কাছে
যুগের পর যুগ বংশ পরম্পরায় পাবে সম্মান।।
——-@——-@———-
৮)”কোটার বিনাশ চাই”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ৩১/০৭/২৪ইং
——————————-
কোটা বিরোধী আন্দোলন
সে তো সময়ের যৌক্তিক দাবি
দেশ স্বাধীন হয়েছে তেপ্পান্ন বছর
মুক্তিযোদ্ধারা পাচ্ছে নিয়মিত ভাতা
কিছুকাল দিয়েছিলো কোটা
তাহা নিয়ে ছিলোনা কোনো কথা।
কিন্তু কতকাল, আর কতকাল
কেনোইবা পাবে কোটা
মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতি
তাও আবার মেধা বিহীন
নাকি এটা ছিলো কোনো মুক্তিযোদ্ধার দাবি ?
যুদ্ধ করেছে যারা
বলেছে দেখেছি নিজ মুখে তারা
ব্যক্তি স্বার্থের জন্যে করিনি যুদ্ধ আমরা
তাই মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা কোনো কোটা চাইনা
এমন মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই হাজারো সালাম
যারা দিয়েছে সত্যিকারের বীরের পরিচয়
আমরা চেয়েছি স্বাধীন দেশ
এখনো চাই অটুট থাকুক সবার স্বাধীনতা।
কোটা প্রথা হোক উন্মুক্ত
জাতির কাণ্ডারি ছাত্ররা খাটাক মেধা
তবেই তো দেশ পাবে খুঁজে ফসল
সত্যিকারের বৈষম্যহীন স্বাধীনতার
যে লক্ষ্য নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ১৯৭১ সাল।।
——-@——–@———
গান :
——–
৯)”কত রঙ্গ জানো”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ২৭/০৭/২৪ইং
—————————–
কত রঙ্গ জানো রে মানু,কত রঙ্গ জানো(২)
সকালে কও এক কথা মানু
বিকালে তা উল্টাও
কত রঙ্গ জানো রে মানু,কত রঙ্গ জানো..ও।
দুঃখ লাগে ভাবতে মানু
বুঝেও বুঝোনা তুমি সবকিছু (২)
তোমার এমন রঙ্গ হবে একদিন সাঙ্গ
তখন কিছুই বলার থাকবেনা রে
কিছুই বলার থাকবেনা
কত রঙ্গ জানো রে মানু, কত রঙ্গ জানো।
যখন পড়বে গ্যাঁড়াকলে মানু
বুঝবে তখন ঠেলা
আসল – নকল বাহির হবে
দিলে তোমায় দুই ঠান্ডা
মানু দিলে তোমায় দুই ঠান্ডা
কত রঙ্গ জানো রে মানু,কত রঙ্গ জানো।
মুখটা তোমার ভেজায় নষ্ট
বলো উল্টা পাল্টা
মানু বলো উল্টা পাল্টা।
তাই পড়বে যখন ধরা ওরে
দিতে হবে জবাব মানু
কোনো ছাড় পাবেনা
কত রঙ্গ জানো রে মানু,কত রঙ্গ জানো।
বলছি শুনো ওরে মানু
আছে সময় এখন..ও
রঙ ধঙ ছেড়ে দিয়ে
সোজা পথে আসো মানু
সোজা পথে আসো
কত রঙ্গ জানো রে মানু,কত রঙ্গ জানো(২)।
——@—-@——
১০)”প্রকৃত রাজাকার”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ১৬/০৭/২৪ইং
————————-
স্বাধীন বাংলাদেশে বসে
যারা দিচ্ছ পশ্চিমবঙ্গের শ্লোগান এখন
বাঙালি বাঙালি
জাতীয়তা জেনেও বাংলাদেশি
তারা যে নব্য রাজাকার
বুঝার তাদের আছে এখনো বাকি ?
স্বাধীনতার পূর্বে পূর্ববাংলা হিসাবে
সঠিক ছিলো শ্লোগান
আমি কে ? তুমি কে ?
বাঙালি, বাঙালি।
কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর
পেলাম যখন বাংলাদেশ
জাতীয়তাও পেলাম বাংলাদেশি
তবুও কেন বলছি
তেপ্পান্ন বছর পর বাঙালি, বাঙালি ?
তার মানে করছিনা স্বীকার মনেপ্রাণে বাংলাদেশি।
তাই এখন যারা বলে বাঙালি
তাদের যায় বলা নব্য রাজাকার
কারণ তারা বাংলাদেশের জাতীয়তা মানেনা।।
——–@——–@———-
১১)”কোটায় নয়,মেধায় চাই”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং – ২১/০৭/২৪ইং
———————————–
তেপ্পান্ন বছর পরও কোটা
এটা নয় কি মামুর বাড়ির আবদার ?
দেশের জন্যে লড়েছে সবাই
সাধ্য অনুযায়ী যে যার
তবুও তারা সেরা
করেছে যারা সরাসরি যুদ্ধ।
দিছে সম্মান, দিচ্ছে ভাতা
তবুও নাতি পুতির কেন পাবে কোটা ?
তেপ্পান্ন বছর পর এতোকিছুর পরও কোটা
বলো তোমরা এটা নয় কি মামুর বাড়ির আবদার ?
যদি চাও বংশ পরম্পরায় সম্মান
লেখা পড়া করে আসো
পরীক্ষা দিয়ে মেধা তালিকায় স্থান নাও
তারপর চাকুরি নিয়ে প্রমাণ করো
তুমি সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা বংশের সন্তান।
মেধাহীন কোটা নিয়ে করছো তোমরা চাকুরি
তাই দুর্নীতি করতে বিবেকে আটকায়নি
তোমাদের জন্যই তোমাদের পরিবারের
হচ্ছে সম্মান হানি
কেন বুঝোনা ওরে মেধাহীন কোটাধারী ?
যারা তোমাদের দিচ্ছে মদদ এবং উসকানি
চিন্তা করে দেখ তারা সুবিধাবাদী
মেধা থাকলে বুঝতে তোমরা
তোমাদের বংশকে সামনে রেখে
ওদের সুবিধার জন্যে
ওরা করে যাচ্ছে ক্রমাগত দেশের ক্ষতি।
সুযোগ দিয়েছো ওদের অনেক
করে নিজের বংশের বীরের সম্মান হানি
তাই আর নয়
এবার আসো সঠিক পথে
বলো চাই না এমনি এমনি
জিততে চাই বাপ-দাদার মতো
সরাসরি যুদ্ধ করে
তবে অস্র নয়,চেতনাবাদীদের আনুকূল্যে কোটা দিয়ে নয়
জিতবো আমরা মেধা দিয়ে।।
——@—–@——-
১২)”শকুনের থাবা”
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ২৫/০৭/২৪ইং
——————————-
আসছে যবে শকুন দেশে
কান্নার ছলে দিচ্ছে হানা নানান কৌশলে
বলি হচ্ছে আমজনতা বারেবারে
শকুনের বাচ্চারা করছে তাহা প্রবাহিত
ভিন্নপথে ভিন্ন উপায়ে।
হয়তো ওরা জানে
নয়তো জানার চেষ্টা না করে
চলছে রক্তচোষা শকুনের মায়াজালে।
কোটা বৈষম্য আন্দোলন শুরু হলো
শান্তিপূর্ণ ভাবে জুলাই ২০২৪ এ
শকুনের উস্কানিমূলক ডাকে
শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অশান্ত হয়ে উঠে
শকুনের বাচ্চারা যখন পালিয়ে যায়
তখন শকুনের থাবা চলে শকুন বাহিনী দিয়ে
যে থাবায় বলি হয় অসংখ্য কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
শকুন ডাকে আবোলতাবোল
যার কারনে আমজনতা হয়ে উঠে ক্ষুদ্ধ
কিন্তু কে শুনে কার কথা
শকুনের তো লক্ষ্য একটাই
মায়াকান্না কেঁদে আমজনতার রক্তচোষা।
সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি
শোনো শকুনবাহিনী ও শকুনের বাচ্চারা
বাস্তবতা বুঝার চেষ্টা করো মায়াজাল ছিঁড়ে
আসো প্রকৃত মানুষের কাতারে
যেনো শকুন আর না পায় সুযোগ দিতে থাবা
যে থাবায় হবে লণ্ডভণ্ড তোমাদের সহযোগিতায়
তোমার- আমার আত্মীয়স্বজনরা।।
——@—–@——–
১৩)”দুঃখ একটু বেশিই “
কলমে-আলমগীর হোসেন
তাং- ২৭/০৭/২৪ইং
————————-
হানাদারদের গল্প শুনেছি বুঝ হবার পর হতে
লোমহর্ষক কাহিনীসহ অগ্রজদের মুখে
তাতেই বলেছি ঘৃণা ভরা মনে
বিধাতা তুমি জীবদ্দশায় কখনও
দেখাইওনা হানাদার বাহিনী।
পাপীতাপী গুনাহগার বান্দা আমি
তাই হয়তো বিধাতা করেনি কবুল দোয়া।
সেইজন্য দেখতে হলো আবার
হানাদার বাহিনীর আদলে নব্য হানাদার।
ব্যবধান শুধু সেথায়
হানাদার বাহিনী ছিলো ভিনদেশী
আর নব্য হানাদার আমাদের স্বদেশী
তাই দুঃখ পাচ্ছি একটু বেশী।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শক্তিধর হানাদার বাহিনী
বুঝতে চায়নি
তাই করছে একের পর এক অন্যায়
নব্য হানাদার বাহিনীও ছিলো ঠিক তেমনই
তাই জুটেছে কপালে দুই হানাদারের
একই করুণ পরিণতি।
এখানেই আফসোস ও দুঃখ একটু বেশী
কেন বুঝলোনা নব্য হানাদার
আমরা স্বদেশী, ওরাতো ছিলো ভিনদেশী !
এখন থেকে সামনের দিনগুলোতেও যদি
এই বাহিনী না নেয় শিক্ষা
তবে পাবো দুঃখ আমরা আরো একটু বেশিই।
আর করবো ঘৃণা তীব্রভাবে
পেশা হিসাবে এই প্রতিষ্ঠান ও বাহিনীকে।।
———@———@————-