চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দুই দিন ধরে আন্দোলন করছেন আনসার সদস্যরা। দাবি আদায়ের জন্য রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন আনসার সদস্যরা। তাদের অবস্থানের কারণে সচিবালয়ে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারছিলেন না।
সচিবালয়ে আনসারের একদল সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটকে রেখেছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকায় যান। এরপর আনসার সদস্যদের সাথে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও আনসারদের সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, আনসার সদস্যদের সচিবালয়ে কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করে আগামী দিনে কোনো ধরনের ক্যু’র (অভ্যুত্থান) চেষ্টা হলে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যান সে সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। পরে ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকার গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন ধাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে বিভিন্ন সংগঠন। সবশেষ সব ধরনের বিক্ষোভ দেখালো আনসার বাহিনী। তবে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ জানিয়েছেন, আন্দোলনকারী আনসারদের সাথে বাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই।