কোন এক ফাল্গুনী সন্ধ্যায় অভিমানের সিক্ত মঞ্জুরিতে
সাজিয়ে ছিলে অপেক্ষার মধু গুঞ্জরণ।
হয়তো জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড তাপদাহে বিষন্ন মনে নির্জনে কেঁদেছিলে।
হয়তো অনুরাগের সিঁথিতে তৃষিত চুম্বন এঁকেছিলে বহুবার।
হয়তো বাতায়ন-পাশে হিমেল হওয়ার পরশে
হঠাৎ বৃষ্টির মন্ত্র তালে প্রকৃতির আভরণে মিশে ছিলে।
হয়তো কোজাগরী রাতে প্রেম স্বরলিপির ঝংকার তুলেছ তানপুরায়
আর বিক্ষিপ্ত ভাবনার পান্ডুলিপি লিখেছ আপন স্মৃতির উষ্ণ আলোয়।
হয়তো কেতকীর বনো ছায়ায় সুরভির স্বপ্ন মায়ার কোলে আর
মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়িয়েছিলে।
আমি না হয় তোমার অপেক্ষার নীলে নীলাম্বরী শাড়ির আঁচল জড়িয়ে
সাজবো দোলনচাঁপা আর রক্তজবা নোটন খোঁপায়।
আমাদের দেখা হোক কোন এক শ্রাবণ সন্ধ্যায় ;
শেষ বিকেলের ছোঁয়ায় ভরে থাকবে গোধূলির রক্তিম আভা টুকু।
অপেক্ষার তিথিতে আলোয় আলোয় ভরে থাকবে
স্পন্দনহীন পূর্ণ জোনাকিরা!