পুরুলিয়ায় জন্ম তোমার ডাক নাম দুখু
অগ্নিবীণার বিদ্রোহী তুমি,তুমি জাতীয় কবি,
মানবতা ধর্ম তোমার, মনুষ্যত্ব আদর্শ
শোষিত নিপীড়িতের নির্ভীক পথপ্রদর্শক,
দারিদ্র্যর মাঝে বেড়ে উঠা,অভাব নিত্য সঙ্গী
স্বদেশ প্রেমে নিবেদিত প্রান,গেয়ে গেছো সাম্যের গান।
তুমি জাগ্রত তোমার কবিতায় চিরস্মরণীয়
খুঁজে পাই তোমায় সৃষ্টি সুখের উল্লাসে,
অগ্নিগিরির বাংলার যৌবনে আঁধার
আত্মশক্তি দিয়ে আকুল তুফান করেছো পার,
বাদল রাতের পাখি বাগিচার বুলবুলি তুমি,
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে কাবেরী তীরে
বিদায় বেলায় বিধুরা পথিক প্রিয়ার আঁশে,
মনের রানীকে সাজিয়েছো তারার ফুলে
মানব প্রেমের পাগল তুমি,মিশেছো প্রিয়ার হৃদ মাঝে।
পথ হারা পাখির পথের দিশা তুমি সন্ধ্যা তারা
শিকল পরার গানে নারীকে দিয়েছো মুক্ত পিঞ্জর,
নিরদ্দেশের যাত্রী পথ হারা, তুমি কান্ডারী হুশিয়ার,
কার বাঁশি বাজিল কারার ঐ লৌহ কপাটে
জাগিয়াছে মুসাফির জাগরণী ভাঙার গানে।
সর্বহারা শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয়
তোমার রৌদ্রদগ্ধের গানে শাওন আসিল ফিরে,
পরান ভরিয়া শুনিয়াছি গান,সাম্যবাদী সত্য কবি,
ভয় করিও না, হে মহান মানবাত্মা,মহান পুরুষ
ভুলিয়ে পারিনি তাই তোমারে বাংলার মানুষ।
তুমি সৈনিক তুমি ধুমকেতু,তুমি প্রেমিক
তুমি বিদ্রোহী বীর চির উন্নত শির,
ভালোবাসার গান কবিতায় তোমার সমৃদ্ধ ভান্ডার,
মাত্র চল্লিশে দুরারোগ্য রোগে হারিয়ে বাকশক্তি,
তবুও কলম তোমার থামেনি করেছো সৃষ্টি,
ঘুমিয়ে গেছো শ্রান্ত হয়ে হে গানের বুলবুল
মসজিদের পাশে কবর ই দিয়েছে তোমায়
বাংলার সাহিত্য আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র
হে প্রিয় কবি কাজী নজরুল।