তিনি বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে মাঠে নামলে শুধু শেখ হাসিনার সরকার নয়, পৃথিবীর যেকোনো স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা কখনো চাইবে না ছাত্র-জনতা এভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকুক।’
এখনো কর্মস্থলে যোগ না দেওয়া পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে চট্টগ্রামে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ছাত্র-পুলিশ ভাই-ভাই। সব পুলিশ কিন্তু বেনজীর, ডিবি হারুন না।বেনজীর দেশে থাকতে পারেনি। ডিবি হারুনও ভালো নেই। সুতরাং আপনারা জনমুখী না হয়ে যদি ক্ষমতামুখী হন, তাহলে আপনাদের অবস্থাও তাদের মতো হবে। তাই আপনারা আবার কাজে ফিরে আসুন, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কাজে আমরা আপনাদের সহযোগী হিসেবে সব সময় মাঠে থাকব।
বিপ্লবকে পুঁজি করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি চলতে দেওয়া যাবে না বলে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রভু চলে গেছে, কিন্তু তার দাসরা আমাদের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে। তারা বিভিন্ন রূপে আমাদের মাঝে এসে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার বিভাজনের রাজনীতি বিদ্যমান রেখে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে। কারা দাড়িওয়ালা, কার দাড়ি নেই; কারা মাদরাসা শিক্ষার্থী, কারা মাদরাসা শিক্ষার্থী না…এসব বিভাজন।
কিন্তু ফ্যাসিজম-পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। মন্দিরে যখন হামলা হয়, তখন মন্দির পাহারা দিয়েছে মাদরাসার ছাত্ররা।’মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকার যে কাজগুলো করেছে, গণ-অভ্যুত্থানে যেভাবে আমার বোনের ওপর নির্যাতন করেছে, রাস্তায় ভাই-বোনদের বুলেট দিয়ে হত্যা করেছে, নিথর দেহগুলো ময়লার স্তূপে নিয়ে ফেলেছে…ওই ডকুমেন্টগুলো জীবন্ত রাখতে হবে। এই বাংলাদেশে আগামী দিনে যারা শাসন করবে কিংবা রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে তারাও যদি ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম করতে চায়, তারাও চাইবে আপনাদের স্মৃতি থেকে এই ডকুমেন্ট মুছে ফেলতে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই মাসে ফ্যাসিস্ট সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ করে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করে। তখন মাথা নিচু করে ক্যাম্পাস ছাড়ার সময় আমরা ভাবছিলাম, আন্দোলন কি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে? কিন্তু তার পরই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ছাত্র-জনতা বুঝিয়ে দিয়েছিল, আমাদের একতার শক্তি কতটা। আমাদের কাজ হবে এই ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিগুলো সংরক্ষণ করা।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল্লাহ সালেহী অয়ন, ইব্রাহিম নীরব, মোবাশ্বেরুল হাসান মৃধা, আবদুল তাহরিব রায়হান প্রমুখ।