আমি কবিতা বুঝি না পড়ি না ভাবি না কবির কথা!
যখন আমি প্রাইমারিতে পড়ি,মা’ ইস্কুলে নিয়ে যেতো
বই ভর্তি ব্যাগটা কাঁধে চলেছে মোর হাতটা ধরি ধরি।
এখন মোদের সন্তানে’রা অনেকেরই স্কুলে যায় যেনো আগের মতেই চলে,নির্ঘুম চোখে বিরাগ মনে কষ্টে মরি।
স্বাধীনচেতা দুরন্ত মনে বড় হলাম ছিলাম কতো রিষ্টপুষ্ট।
এখন ওরা শৃঙ্খলে বাঁধা অলস এক মানব শিশু বিশিষ্ট।
আমি প্রত্যুষে ঘুম থেকে জেগে হোমওয়ার্ক শেষে নিজে
ক্লাসে যেতাম বইপুস্তক কাঁদে নিয়ে সুস্থ মনে ইস্কুলে’তে।
ওরা কাক ডাকা ভোরে চোখে ঘুমঘুম নেই পেটে খাবার
টিফিনের বাক্সে ডিম ভাজি পরোটা যায় রুচিতে বাঁধে।
দূর্বল চিত্তে ঝিমুচ্ছে শিশু ধমকায় শিক্ষক খুবই নিদারুণ,
ঘরে বাইরে ইস্কুলে নেই যেন স্বাধীন শিশুর প্রতি আচরণ।
শারীরিক কসরত নেই,সকালে বিকালে খেলাধুলা নেই, স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠার কোন সামাজিক পরিবেশ নেই!
প্রতিনিয়ত শিশুকে আমরা বলি পাশের বাসায় যেয়ো না, ছেলে-মেয়েরা ভালো না; তাদের সাথে মেলামেশা কর না,
ইস্কুলে বই খাতা কলম পেন্সিল কাউকে ধরতে দিও না,
নিজে না খেয়ে তোমার নাস্তাটা কাউ’কে খাওয়াবে না!
নৈতিকতার অপসংস্কৃতির সামাজিক বন্দীশালায় শিশুরা সারাদিন কম্পিউটারে গেইমস খেলে করছে কি’বা কাজ?
সবার অলক্ষ্যে বিনিদ্র নিশিযাপন ভাঙ্গছে ভবিষ্যতের স্বপ্ন ,
রিচ্ ফুড খেয়ে খেয়ে স্থুলতায় ভোগে,কোথায় যাচ্ছে শিশু?
কি করে বলি আমার শিশু আগামী দিনের হবে স্বপ্ন বাজ!!