কষ্টে ভরা মন আমার,উদাস হয়ে চলি তাই! চলতে চলতে একদিন আমি মন সাগরে ডুবে যাই!
সাগর তো নয়, মনটা যেনো এক বিশাল জলরাশি, তবুও তার বুকটা চিরে ঢেউ উঠছে রাশি রাশি।
বিশাল থেকে ছোট্ট,মুহুর্মুহু শুনি ভিষণ গর্জন,সাগর বলে ভয় পেয়ো না এতো আমার কষ্টের কাঁদন!
ঢেউয়ের পর ঢেউ যেন দামাল নৃত্যে অট্টহাসে স্বস্থির নেই আমার জলরাশী দেখে মহাজনে খুশী।
সুউচ্চ পাহাড় দেখে ভাবছি পাহাড় বুঝি সুখী,জিজ্ঞাসিলে তারে সে বলে,না গো সুখ মনে নেহি!
নড়াচড়া করতে নাহি পারি সারাক্ষণ স্থির থাকি মেঘেরা তেড়ে এসে অনবরত গায়ে ঢালে পানি।
ঝর্ণার কলকল ধ্বণি সে যে আমার কান্নার ভাই,বাতাস ধরা ছোঁয়ার বাইরে তবুও শাঁই শাঁই!
শব্দের করুণ সুরে বিরামহীন শুনিয়ে যাচ্ছে তার হৃদের মর্মবাণী!
আগুন বলে হৃদে জ্বলে তাঁরও না-কি লাগে পানি,যখন জ্বলে পুড়ে মন আগুনে ভারি কষ্ট হয় জানি!
আবদুল গনি করে তাড়া বেঁচেও যে জিন্দা মরা সুখের জন্যে হা-হুতাশে কাঁদিস না’ যে কেউ তরা।
জগতে সবে ধরা বলতে পারে না কেউ আসলে সুখী কারা ?