কখনো কখনো, জীবন এমন এক দৌড়ে ফেলে,
যেখানে আমরা শুধু অন্যদের জন্যই ছুটি।
মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে,
প্রিয়জনের মন জিততে,
সহকর্মীর চোখে ভালো হতে—
নিজের অস্তিত্ব কোথায় যেন ফিকে হয়ে যায়।
আমরা ভাবি, যত বেশি দেব,
তত বেশি ভালোবাসা ফিরবে।
কিন্তু এই লেনদেনে নিজের হৃদয়টা
যতটা দেয়, ততটাই শূন্য হয়।
আচ্ছা বলুন তো, শেষ কবে আয়নায় তাকিয়ে
নিজেকে বলেছিলেন, “তুইও ভালোবাসার যোগ্য”?
শেষ কবে নিজেকে জড়িয়ে ধরেছিলেন,
ঠিক ততটা মমতায়, যতটা আপনি অন্যকে দেন?
আপনি কি জানেন, এই জগতের সবচেয়ে কাছের মানুষ আপনি নিজেই?
আপনার চোখে জল, আপনার নিঃশ্বাসের ভার,
আপনার ক্লান্তি, আপনার হাহাকার—
সবার আগে আপনার নিজের বোঝা।
তবু কেন নিজের প্রতি এত অবহেলা?
কেন নিজের ভালোবাসাটুকু অন্যের হাতে তুলে দেন?
জানেন তো, যদি আপনি নিজেকে না ভালোবাসেন,
তবে আর কেউই আপনাকে ভালবাসতে শেখে না।
ভালোবাসুন নিজেকে—
ভুল করার পরও ক্ষমা করুন,
ক্লান্তির দিনে একটু বিশ্রাম দিন,
নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিন।
নরম আলোয় বসে এক কাপ চা খান,
পছন্দের গান শুনুন, বইয়ের পাতায় হারিয়ে যান।
এভাবে ছোট ছোট যত্নেই
নিজেকে ভালোবাসার পাঠ শেখান।
কারণ আপনি, হ্যাঁ আপনি—
এই পৃথিবীর একজন অমূল্য মানুষ।
আর সেই অমূল্যতাকে রক্ষা করার প্রথম শর্ত—
নিজেকে সময় দেওয়া।
আপনি যতটা নিজেকে ভালোবাসবেন,
এই পৃথিবী ততটাই আপনাকে ভালোবাসবে।
তাই, আজ থেকেই শুরু হওক,আগামীকাল নয়
আজ থেকেই নিজেকে সময় দিন।
আপনি নিরংকুশভাবে আশা করেন—
একটা সম্পূর্ণ ভালোবাসা,
যেটা শুরু হয় আপনার নিজের ভেতর থেকে।