চারপাশের দৃশ্যপট যেন ধসে পড়ছে ধীরে ধীরে,
ভাঙা সেতুর ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা একাকী পথিকের মতো
মনে হয়—আমিই কেবল এই ভগ্নচিত্রের একমাত্র সাক্ষী।
সবকিছু একে একে ভেঙে যাচ্ছে—
স্বপ্নের কাচের জানালা, বিশ্বাসের কাঠের দরজা,
যে বন্ধুত্বের উঠোনে আমি হেসেছি একদিন,
আজ সেখানে কেবল ধুলো আর শূন্যতার খেলা।
কখনো অকারণেই কান্না আসে—
যেন বুকের ভেতর কোনো অদৃশ্য সমুদ্র
অশ্রুর ঢেউ তুলে ভেঙে যাচ্ছে তীরের বাঁধন।
এই কান্না আমার দুর্বলতা নয়,
বরং জমে থাকা ঝড়ের নিঃশব্দ বৃষ্টি।
প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি।
মাঝে মাঝে মনে হয়—সব ছেড়ে পালিয়ে যাই কোথাও,
একটা নদীর ধারে, পাহাড়ের ছায়ায়,
যেখানে আমার ভেতরের এই ক্লান্ত পাখিটি
ডানা মেলে শান্ত আকাশে উড়তে পারে।
ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি কুয়াশার মতো অস্পষ্ট।
নিজের আলোকিত ভাবনাগুলোও এখন অন্ধকারের হাতছানি।
চারপাশে এত মানুষ তবুও আমি
গভীর নিঃসঙ্গতায় ডুবে আছি।
তবুও প্রতিনিয়ত ভাবছি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে
কিন্তু আমি জানি সব ভাবনায় আমার মরীচিকার মতো কোনদিনই আর ঠিক হবে।
হয়তো সব পিছনে ফেলে চলে যাব অজানার ডাকে ভাবনাহীন জগতে।