সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর ভেঙে যাওয়া দূর্গাবাটি উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৭০০ চিংড়ি ঘের ও কাঁকড়া খামার ভেসে গেছে। শুধু মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ৮ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। এতে কাঁকড়া চাষী ও মৎস্য ঘের মালিকরা দিশে হারা হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর ভেঙে যাওয়া দূর্গাবাটি উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধটি ৫ দিনেও মেরামত হয়নি। ফলে এখনো দিনে দুই বার জোয়ার ভাটার কারণে বুড়িগোয়ালীনির ১৫টি গ্রাম পানির নিচে থৈ থৈ করছে। এলাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপকূলের ক্ষতিগ্রস্ত অতন্ত ২০ হাজার মানুষ।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, শ্যামনগরের উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে পানিতে ভেসে গেছে ছোট-বড় ১ হাজার ৮৩৫ হেক্টর চিংড়ি ও কাঁকড়া খামার। এর মধ্যে পুকুর রয়েছে ১০০টি।
এদিকে গত ৫দিনেও বাঁধ মেরামত না হওয়ায় এলাকায় নিরাপদ পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সাংসদ এস এম জগলুল হায়দার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলনসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবি সংগঠন খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, বাঁধ ভেঙে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি চাষী ও কাঁকড়ার প্রজেক্টের খামারিরা।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পাউবোর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবুল খায়ের জানান, বাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বস্তা, রশি, বাঁশ ও পেরেকসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। প্রায় ৬০০ ফুট এলাকা জুড়ে পাইলিং ও রিংবাঁধের কাজ জোরে সরে চলছে।