মরণকে আলিঙ্গন করতে শেখো
আঁখির সম্মুখে বহুবিধ ছবি ভেসে আসে
কোনটা কী বিবেক জাগ্রত করবে।
মরণকে আলিঙ্গন করেছো
এবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পালা।
শাঁখা পরিহিতা এক লাবণ্যময়ী সুন্দরী রমনি পাহাড়ি ঝর্ণার পবিত্র পরশ শীতল জলে স্নান করছিল ; তোমার তার অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখার অতৃপ্ত বাসনা জাগলো কেন?
তুমি গুটি গুটি পায়ে দাঁড়িয়ে তাঁর সম্মুখে, সে থতমত খেয়ে গেল, সত্বর ঘোমটা টেনে আপাদমস্তক আবৃত করার আপ্রাণ চেষ্টা, তার অন্তঃকরণ কাঁটার মতো বিঁধে গেলো।
তবুও তোমার আক্কেল সেলামি গেল না
তোমার অন্তরে ” আই লাভ ইউ” বলার তীব্র আকাঙ্ক্ষা, কিন্তু কেন?
একটু আগে তুমি মরণকে আলিঙ্গন করলে, সে অর্ধ স্নানে, কোন অধিকার বলে তার স্বাধীনতা হরণ করতে উদ্যত?
জনশূণ্য পাহাড়ি অঞ্চলে সাঁওতাল ওঁরা। ওঁরা ঘাসের মতো সহজ সরল। ওঁরা ভীষণ পরিশ্রমী। ওরাঁ প্রত্যন্ত অঞ্চলের নৃতত্বজনগোষ্ঠী হলেও খুব সম্মান নিয়ে বসবাস করতে পছন্দ করেন।
অকস্মাৎ এক দাড়িওয়ালা ভদ্রলোক যুবকের অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শনে তার প্রতি অবিশ্বাস জন্মালে বিদ্যুৎ বেগে ধাবিত হয়ে সুধায়, হে যুবক, এখানে তোমার কাজ কী?
ভয়ে কুঁকড়ে থাকা নববধূর বুকে সাহস এল, বল্ল সে আমার দিকে কুনজরে দীর্ঘক্ষণ চেয়ে রইল, স্নান শেষে আমার সতিত্ব চরিতার্থ করতে, দয়া করে আমার সহায় হন।
মুসল্লি বলে, হে যুবক, তুমি এখান থেকে চলে যাও, তোমার মরণ হলে কৈফিয়ত দিতে হবে স্রষ্টার কাছে কারণ তাঁর নির্দেশিত পথে তুমি নেই।
সেলাম হুজুর, আমাকে মেয়ের মতো সাহায্য করার জন্য, আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।