কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার (জাপানি বাশার) এর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগের পাল্লা যতই দিন যাচ্ছে ততই ভারি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী যিনি ইতি মধ্যেই বিশ্ব সেরা অর্থমন্ত্রী হিসেবে খেতাম পেয়েছেন। সেই আ,হ,ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এর জন্মভূমি এলাকার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান,লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার প্রকাশ জাপানি বাশারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর তৎকালীন সদর দক্ষিণ উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জগতপুর গ্রামের মৃত, হারুনুর রশিদের স্ত্রী শাহনাজ বেগমে দায়ের করা অভিযোগের আসামী ছিলেন, দেলোয়ার, সালমা, সফিকুর রহমান সহ ৬ জন।
স্বামী মারা যাওয়ার কিছুদিন পর শাহনাজ বেগমের ননদ ৬ ডিং সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়, অথচ প্রকৃতপক্ষে ননদ সালমা বেগম ৩ ডিং সম্পত্তির মালিক। তা নিয়ে শাহনাজ বেগম ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসার জন্য অভিযোগ দায়ের করলে উভয় পক্ষ কে ডেকে মিমাংসার মাধ্যমে ২০/১১/২০১৭ ইংরেজি, দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন যার প্রমাণ, ইউনিয়ন পরিষদ প্যাডে লিপিবদ্ধ এবং সাক্ষী সিহেবে ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার মকসুদ আলীর স্বাক্ষর ও সিল সহ অন্য আরও ২ জনের স্বাক্ষর এবং চেয়ারম্যান আবুল বাশারের সিল ও স্বাক্ষর থাকতে দেখা গেলেও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার অস্বীকার করলেন এক মূহুর্তেই।
নিরাশ হলে থেমে নেই শাহনাজ, ৪ বছর অপেক্ষা করেও যখন এই টাকা চেয়ারম্যান আবুল বাশার থেকে উদ্ধার করতে না পারায়, ২১/০৬/২০২১ সালে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করলে, তৎকালীন ইউএনও এই দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আবুল বাশারের বিরুদ্ধ্ব আইনগত ব্যবস্থা না করলেও কড়াকড়ি দিতে মোটেও পিছপা হোন নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কড়াকড়ি পেয়ে শাহনাজ বেগমকে ডেকে এনে সম্মানহানীরও কমতি ছিলনা কোথায়ও। তাঁর এমন দূর্নীতি ও অপকর্মের অভাব নাই কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশারের বিরুদ্ধে।
স্মার্ট বাংলাদেশের রুপকার অবশ্যই খতিয়ে দেখবে যেনো তাঁর কারণে সরকার দলের কোন বদনাম না হয় এবং কোন ফাটল না ধরে। চেয়ারম্যানের এই দূর্নীতি ও জনগণ হয়রানির প্রতিবাদে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি।