লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে এক তরুণী। গত মঙ্গলবার থেকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের শৈরশৈ গ্রামের প্রেমিক রাসেল হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন। প্রেমিক রাসেল ওই এলাকার হান্নান শেখের বাড়ির পূর্ব পাশে সৌদি প্রবাসী খোরশেদ আলমের ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণী খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার ঝড়বাদল এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকার গুলিস্তান এলাকার বংশাল চুরিটোলায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। বাড়িতে প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে প্রেমিক রাসেল বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তরুণী জানায়, গত এক বছর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের কথা বলে গত ৩ মাস ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় একসঙ্গে বসবাস করে আসছেন তারা। এ সময় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রাসেল।পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে (রাসেল) পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়ে বিয়ের দাবিতে এবং আমার অধিকার আদায়ে রাসেলের বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে আসার পর রাসেলের মা-বোন তাকে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ তরুণীর। একই সঙ্গে রাসেলকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় পরিবারের লোকজন। বর্তমানে ওই তরুণী ৩ মাসের অন্তঃ সত্ত্বা বলেও জানায়। জানা যায়, গত ২রা মে সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে রাসেলের খোঁজে রামগঞ্জের শৈরশৈ বাজারে আসে। এ সময় স্থানীয় লোকজন কোথা থেকে আসছেন বলে তাকে জিজ্ঞাসা করে। পরে প্রেমিক রাসেলের সঙ্গে দেখা হলে তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয়রা বুঝতে পারলে রাসেলের বাড়িতে যান। এনিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় রাসেলের পরিবারের। পরে স্থানীয় মেম্বার, চৌকিদার ও ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। ৩রা মে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই তরুণী প্রেমিক রাসেলের বাড়িতে অনশনে রয়েছেন। এ বিষয়ে রাসেল হোসেন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার মা পারভিন বেগম জানান, বাড়িতে আসার পর আমি আমার ছেলেকে ওই তরুীকে নিয়ে বের হয়ে যেতে বলেছি। সৌদি থেকে আমার স্বামীও বলেছে তাদের বের করে দিতে। এলাকার কিছু দুষ্ট মানুষের ইন্ধনে এই মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছে। আমার ছেলে দোষ করলে তার বিষয়ে সে দেখবে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে গ্রামপুলিশ, ইউপি সদস্যসহ তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি শুনেছি। মেয়ের একটাই কথা সে রাসেলকে বিয়ে করবে। রাসেল বর্তমানে বাড়িতে নাই, তার পরিবারকে বলেছি তাকে এনে বিষয়টির সমাধান করতে। রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, এনিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।