জানা গেছে, রবিবার পিস ওয়ার্ল্ড থেকে তাঁর লাশ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এরপর তাঁকে পার্ক সার্কাসের গোবরা কবরস্থানে স্বামী কাজী অনিরুদ্ধর পাশে দাফন করা হবে।
কল্যাণী কাজীর ছোট ছেলে কাজী অরিন্দম জানান, ‘আমার ছোট বোন অনিন্দিতা কাজী এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে আছে। সে মাকে শেষ দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। তাই সে আসার পর আগামী রবিবার পার্ক সার্কাস ৪ নম্বর ব্রিজের কাছে গোবরা কবরস্থানে মাকে দাফন করা হবে। আমার বাবা এবং বড় চাচা কাজী সব্যসাচীর পাশে মাকে কবর দেওয়া হবে।’
বাংলা সংগীত জগতে অত্যন্ত সুপরিচিত নাম ছিল কল্যাণী কাজী। বেশ কিছু বইও লিখেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমির উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ছিলেন তিনি।
নজরুল সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাঁকে ‘সংগীত মহাসম্মান’ পুরস্কারে ভূষিত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে সাংস্কৃতিক জগতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এক শোকবার্তায় বলেছেন, ‘বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী এবং কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি’।
কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘বিখ্যাত এই নজরুলগীতি শিল্পীর মৃত্যুতে সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।