1. admin@mannanpresstv.com : admin :
লেখক : আদিল খান এর গল্প // দৃষ্টিকোণ - মান্নান প্রেস টিভি
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫১ অপরাহ্ন

লেখক : আদিল খান এর গল্প // দৃষ্টিকোণ

এম.এ.মান্নান.মান্না
  • Update Time : সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩
  • ১০৭ Time View

লেখক : আদিল খান এর গল্প // দৃষ্টিকোণ

যে ভাবেই হোক তোকে আমি একদিন আমার বিছানায় নেবই।
কথাটা বলেই মিমের কাছ থেকে উঠে চলে গেলো সোহান।
মিম কথাটা শুনে একটু অবাক হলেও পুরো অবাক না নাহ। কারণ এটা নতুন কিছু নয়।
তাই মিম শুধু ভাবছে এই পশুটার হাত থেকে কি করে রক্ষা পাবে।
সোহার মিমের দুলাভাই,,,,,
মানে মিমের বড় আপু আয়শার বর সোহান।
মিম পড়াশোনার সুবাধে সোহানের বাসায় থাকে।
লেখাপড়া অনেক ভালো সে,,,,
তাই গ্রাম থেকে তার বাবা মা তাকে শহরে পাঠিয়েছে তার বড় আপু আয়শার বাসায়।
সেখানে থেকে পড়া শোনা করবে বলে।
কিন্তু মিম এখানে আসার পর থেকেই তাই দুলাভাই সোহানের লালসার সিকার।
নানা ভাবে সোহান মিমকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসতেছে।
কিন্তু আজ সোহান যেটা বলে গেলো সেটার শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না মিম।
বসে বসে ভাবছে কি করব আমি এখন?
এখানে থাকলে সোহান একদিন না একদিন তার জেদ পুরণ করবেই।
আবার এখান থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়াও সম্ভব না।
কারণ সামনেই তার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা।
তার উপর আবার আপু(আয়শা)
অসুস্থ।
পরিক্ষা না দিয়ে,,,,
আপুকে এভাবে ফেলে রেখে চলে যাওয়াটাও ঠিক হবে নাহ।
তাহলে কি করবো আমি???
আমাকে এক গ্লাস পানি দিয়ে যা মিম
পাশের রুম থেকে ডেকে কথাটা বললো আয়শা
আচ্ছা,, আসতেছি
বলে উঠে আয়শাকে পানি দিতে চলে গেলো সে।
সোহান রুমে আয়নার সামনে দাড়িয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।
এমন সময় মিম পানির গ্লাস হাতে নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো।
মিমকে দেখে সোহান একটা হাসি দিয়ে বললো,,,
কি খবর ভালো আছো,,, আমার সুইট শালি?
হুমমম
দায় সারা জবাব দিয়ে,,, আয়শাকে পানি দিলো মিম।
দিয়ে চলে আসবে এমন সময় আয়শা বললো,,,
যাচ্ছিস কেন?
একটু বস না
আয়শার কথায় বসলো মিম।
সোহান রেডি হয়ে অফিসে চলে গেলো।
তারপর আয়শা বললো,,,,
তোর পরিক্ষা কবে থেকে?
সামনের মাসের ৬ তারিখ আপু।
ওওও,,,, আজ কলেজে যাবি না?
ফ্রমফিলাপের টাকা ছাড়া কলেজে গিয়ে লাভ কি বলো?
আচ্ছা তোর ফ্রমপিলাপের লাস্ট ডেট কবে?
২৪ তারিখ
আজ তো ২২ তারিখ। তাই না?
হুমমম
আচ্ছা আমি আজ আবার তোর দুলাভাইকে বলল।
তুই আজ কলেজে যা,,
আমি দেখছি।
তারপর উঠে,,, তার রুমে চলে আসলো মিম।
মিম ভালো করে জানে আয়শার কথায় ফ্রমফিলাপের টাকা দেবে না সোহান।
কেন দেবে না সেটা সে জানে।
কারণ সোহান টাকার বিনিময় মিমকে চায়।
তাই সে সকালে ঐ কথাটা এতোটা যোর দিয়ে বললো।
সোহান ভালো করেই জানে মিম তার বাড়ি থেকে ফ্রমফিলাপের টাকা নিতে পারবে না।
সেই সাধ্য নেই তার পরিবারের।
এসব ভাবতে ভাবতে কেটে গেলো কিছু সময়।
তারপর মিম রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লো কলেজের উদ্যেশে।
কিছুক্ষন হাটার পর কলেজে পৌছায় মিম।
কলেজে গিয়ে গাছ তলায় বসে বসে ভাবছে কি করে ফ্রমফিলাপের টাকা জোগার করব?
কেমন আছো মিম?
(একটু ধাক্কা দিয়ে)
ওওহ তুমি?
এই তো আছি,,, তুমি কেমন আছো রাজিব?
রাজিব মিমের বয়ফ্রেন্ড। ওদের সম্পর্কটা মাত্র তিন মাসের।
আসলে রাজিব অনেক দিন থেকে মিমের পিছনে ঘোরে কিন্তু মিম সায় দেয় নি।
কিন্তু সেদিন যখন মিমের প্রিয় বেলিফুল দিয়ে রাজিব মিমের সামনে হাটু গেরে বসে প্রপজ করে তখন আর না করতে পারে নি মিম
হুমম ভালো,,,,
চলো ঐ দিকে যাবো।
নাহ,,, আমি যাবো না,, তুমি যাও
কেন….?
আর তোমার মন খারাপ কেন?
কই না তো।
মিথ্যা বলবা না,,, আমি তোমার মুখ দেখেই বুঝতে পারছি,,,,,,
কিছু একটা হয়েছে।
আর আমি লক্ষ করছি কিছুদিন থেকে তোমার মন সব সময় খারাপ থাকে।
বাদ দাও কিছুনা,,,, পরে বলবো।
আচ্ছা,,,,, যোর করলাম না,,, তবে পরে বলবা কিন্তু।
হুমমমম
এখন চলো সবাই ওয়েট করছে।
তারপর মিম ও রাজিব উঠে পড়লো আর হাটতে শুরু করলো।
কিছুক্ষণ বন্ধুদের সাথে কাটানোর পর একটা টিউশনি করায় সেটা করিয়ে
বাসায় ফিরলো মিম।
রুমে গিয়ে ব্যাগটা রেখে ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিবে তখনি আয়শার ডাক
মিম…….?
একটু এদিকে আয় তো
মিম তারাতাড়ি উঠে আয়শার রুমে যায়।
হুমমম কি আপু?
কোথায় ছিলি…?
সেই কখন থেকে ডাকছি।
কলেজে গিয়েছিলাম
ওওও,,,,
আমার ঔষধ টা দে,,,,
আয়শাকে অষুধ দিয়ে আবার তার রুমে চলে আসলো মিম।
রুমে এসে একটু রেস্ট নিয়ে,,
লান্স সেরে শুয়ে শুয়ে ভাবছে
দুলাভাই কেন এমন করছে আমার সাথে?
আপু আর উনি তো ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো।
আপুর মুখে এখনো শুনি সে নাকি দুলাভাইকে নিয়ে গর্বিত।
কপাল গুনে নাকি এমন বর পাওয়া যায়।
আর উনি কিনা আমার সাথে এসব….?
আমি যে ওনার শালি সেটা ভুলে যায় শুধু আমার দেহ টার জন্য?
আমার শরীরের জন্য?
ওনার যদি এতোটাই শারীরিক চাহিদা থাকবে তো উনি পতিতা পল্লীতেও তো যেতে পারে।
কিন্তু উনি সেটা না করে আমাকেই কেন বেচে নিলো?
ছিঃ
ভাবতেই যেন কেমন লাগছে মিমের।
কিন্তু তার এখন আসল চিন্তার বিষয় ফ্রমফিলােলপের টাকা
কোথায় পাবে।
তার বাবা মাকে বলেও তো লাভ নেই,,
বরং ওনারাই মিম এবং সোহানের থেকে টাকা নেয় প্রতিমাসে।
তা দিয়েই চলে তাদের সংসার,,,সাথে ঔষধের দামও।
আর টিউশনির টাকা যা দেয়,,
তা থেকে বাড়িতে দেওয়া,, নিজে চলতেই চলে যায়।
তারপর মিম ভাবতে লাগলো,,,৷ এসব কি আপুকে বলবো??
আপুকে বললে তো আপু বিশ্বাস ই করতে চাইবে না,,,,
ও এসব ভালো মাইন্ডে নেবেই না।
আর বিশ্বাস করেলেই বা কি?
ও তো নিজেই সোহানের উপর নির্ভরশীল।
পরে যদি আমার জন্য ওদের সংসারে আগুন লাগে?
তাহলে রাজিবকে বলবো??
পরে যদি আবার সে আমাকে উল্টো ভুল ভুঝে??
সে যদি আমার কথাটা উল্টো ভাবে নেয়?
কেননা ছেলেরা তো একটু বেশি সন্দোহ প্রবণ।
তাদের দৃষ্টিকোন একটু আলাদা।
তাহলে কি করব আমি???
এসব ভাবতে ভাবতে সন্ধা হয়ে এলো।
মিম উঠে রান্না করে,,, সোহান আয়শার খাবার তাদের রুমে দিয়ে এসে একটু পড়তে বসলো।
রাত ১০ টা পর্যন্ত পড়ে।
লাইটটা অফ করে শুয়ে পড়লো।
কিন্তু কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর তার রুমে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে তারাতারি বিছানা থেকে উঠবে,,,
তখনি কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো।
দিয়ে তার মুখ চেপে ধরলো।
>>> চলবে??

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Categories

© All rights reserved © 2022 mannanpresstv.com
Theme Customized BY WooHostBD