দৌলতপুর উপজেলায় গরুর পাটখেত নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দুই কৃষককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়া হাটখোলা এলাকায় সরদার ও মালিথা বংশের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে মালিথা বংশের দুজন নিহত হন। এছাড়া উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন। নিহতরা হলেন-ভেলোশ মালিথা (৪০) ও বজলু মালিথা (৪২)
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান জানান, পাটখেত নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে বুধবার একপক্ষের লোকজন হামলা করে দুজনকে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নানা বিষয়ে সরদার ও মালিথা বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার বজলু মালিথার পাটখেত সরদার বংশের ফরিদ খসরুর গরু নষ্ট করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে উত্তেজনা শুরু হয়। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে সরদার বংশের দুই যুবক রাব্বি ও রিপন মালিথাপাড়ায় গেলে তাদের মারধর করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কুড়াল, রামদা, ফলা নিয়ে সরদার বংশের শতাধিক লোকজন মালিথা বংশের লোকজনের ওপর হামলা করে। এ সময় গুলির শব্দও শোনা যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ সময় আসাদ সরদার, সাহাজউদ্দিন, ওয়ারিশ সরদার, ফরিদ খসরু, সাগর সরদার, মুজা সরদারসহ ২০ জন আহত হন। আহতদের প্রথমে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চারজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বজলু মালিথার ছেলে স্কুলছাত্র কমল মালিথা জানায়, পাটখেত নষ্ট করায় আমার বাবা প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে সরদার বংশের লোকজন যখন দলবেঁধে আমাদের বাড়িতে হামলা করে এবং আমার বাবাকে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। রক্তক্ষরণে আমার বাবা মারা গেছেন। সামনে যাকে পেয়েছে তার ওপরই তারা হামলা করেছে। অনেকের ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে।
১নং ওয়ার্ড মেম্বার নান্টু রাজ জানান, পাটখেত নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার থেকে দুই বংশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার সরদার বংশের লোকজন মালিথাদের ওপর হামলা করে। এ সময় কুপিয়ে ও গুলি করে দুজনকে হত্যা করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুজ্জামান জাহিদ জানান, ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি করে ও কুপিয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে তারা মারা গেছেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সরদার বংশের মাতবর জামাল উদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তার স্ত্রী ধরেন। হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।