বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, এবার যা হচ্ছে তা নির্বাচন নয়, এটা বানরের পিঠা ভাগাভাগি। সেই কাজগুলো আপনারা (সরকার) প্রকাশ্য করছেন। আপনারা জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন। যে দেশ গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন করা হয়েছিল, সে দেশে এই নির্বাচনের প্রহসন চলতে পারে না।
বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ‘বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে’ শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, এই সরকার বছরের পর বছর ক্ষমতা আকড়ে ধরে রেখেছে। এরপরও তারা কেনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে আসতে ভয় পায়? আমরা তাদের (সরকার) আমন্ত্রণ জানাবো, আপনারা সমস্ত বিধি-নিষেধ, নিয়ম-কানুন, হুমকি-ধামকি এবং মামলা হামলা ছেড়ে দিয়ে জনগণের মুখোমুখি হোন। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। আপনারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে আসুন। সেই নির্বাচনে জয়লাভ করলে আমি সর্বপ্রথম আপনাদের অভিনন্দন জানাবো। কিন্তু দেশের বাস্তবতা আজকে ভিন্ন। সেই বাস্তবতায় আপনারা মানুষকে ভয় পান।মানুষের ভোটকে ভয় পান। সেজন্য আজকে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে আপনারা ভোট ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এই সংঘাতের পথ ছেড়ে দিন। এদেশের শান্তি প্রিয় মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। আর আমরা রাজপথে আছি রাজপথে থাকবো। আর আমরা শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যে প্রতিবাদ করে এসেছি, এই প্রতিবাদ আমরা রাজপথে করে যাবো। আর বাংলাদেশে কোনো একদলীয় সরকার থাকতে পারবে না।
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। এখানে দিনের ভোট রাতে হতে পারবে না। আর মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া যাবে না। আর আমরা চাই দেশের এই রাজনৈতিক সংঘাতময় অচলাবস্থার অবসানের শেষ হোক। সরকার দাবি করে তারা অনেক উন্নয়ন ও ভালো কাজ করেছে। আমি তাদের প্রশংসা করি।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা একটি উদ্দেশে সংগ্রাম করছি, এই সংগ্রাম ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। আর জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখান করেছে। তাদের নৈতিক পরাজয় ইতিমধ্যে হয়ে গেছে।
আজকে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে দু:খের সঙ্গে বলতে হয় স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে এসে যেখানে দাঁড়িয়েছি, সেখানে আমরা একই ঘটনা দেখছি। যেখানে মানুষের কখা বলার স্বাধীনতা নাই। যেখানে মানুষের ভোটের অধিকার নেই এবং এখানে গণতন্ত্র নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।