কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কুমিল্লার আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকদিবস পালন ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত।
এতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কুমিল্লার আহবায়ক ও লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এড. ইউনুছ ভূঞা’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা জেলা পিপি এড. মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির
এড. মোঃ আহছান উল্লাহ খন্দকার, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কুমিল্লার সদস্য সচিব এড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, এড. আবদুল মমিন ফেরদৌস, এড. গোলাম ফারুক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ আবু তাহের, এড. সৈয়দ নুরুর রহমান, এড. আব্দুল রাজ্জাক মজুমদার, এড. আতিকুর রহমান আব্বাসী, এড. মজিবুর রহমান বাহার, এড. মোঃ খোরশেদ আলম ও এড. আবুল কামাল আজাদ তমাল প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন- এড. নুরুদ্দিন মিয়াজী বুলবুল ও এড. জিয়াউল হাসান চৌধুরী সোহাগ।
সভায় বক্তারা বলেন- ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলো ২৪জন। ঘটনাটি একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা হিসেবে পরিচিত। ওই হামলায় আশেপাশের এলাকাই শুধু কেঁপে ওঠেনি বরং এটি নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরোদেশকে। তৎকালীন বিএনপি-জামাত সরকারকে হামলার জন্যে প্ল্যান-বি তে যেতে হয়েছিল। তবে সেই সময় বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য মৃত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। যদিও আজও তিনি সেই হামলার পরিণতি বহন করছেন নিজের শরীরে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিএনপি-জামাত সরকার কোনো প্রচেষ্টা বাদ রাখেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের দোষারোপ করা, দ্রুত সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করা, মামলা নথিভুক্ত না করা ও অভিযানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জজ মিয়ার নাটক উত্থাপন করে। একদিকে যখন সরকার নিজেদের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে তারা দায়ীদের দায়মুক্তি দিতে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছিল। যেন ভবিষ্যতেও ন্যায় বিচার করা সম্ভব না হয়।
সবশেষে বক্তারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যারা পলাতক রয়েছেন তাদের দ্রুত দেশে এনে রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।