কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের তাজের ভোমরা গ্রামের প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজার মোঃ শহিদুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠায় ছেলে শহিদুল ইসলামের বাবা ও ভাইকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মেয়ের বাড়িতে পাঠালে, ছেলে গরিব বলে মেয়ের মা জোসনা বেগম তাদের অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, তারপরেও মেয়ে থেমে নেই, বাড়ি থেকে বিয়ের খরচ এনে ছেলের হাতে দেয়, এই বিষয়টা মাদ্রাসায় জানাজানি হলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ জামাল হোসেন সহ মেয়ে, মেয়ের মা জোসনা বেগম, শিক্ষক রবিউল হোসেন এবং অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম সহ সকলেই একটা মিমাংসায় আসে।
৮ই অক্টোবর ২০২২ দিবাগত রাতে মেয়েকে এবং ছেলে শহিদুল ইসলাম ও মেয়ে জান্নাত নিঝিমের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা করার কারনে তাদের দুইজনকেই মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মেয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন প্রবাসে থাকায় মেয়ের মা জোসনা বেগম নতুন একটি জন্মনিবন্ধন বানিয়ে মেয়ের বয়স কমিয়ে নাবালিকাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন কুমিল্লার আদালতে।
অনুসন্ধ্যানে বেরিয়ে আসে, মেয়েটি প্রথমে ফুলগাও মাদ্রাসায় ১ম ও ২য় শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়া করে লাকসামের একটি মাদ্রাসায় বর্তমানে মেশকার (ডিগ্রী)তে রোল নাম্বার ৩০ নিয়ে অধ্যায়নরত ছিলেন।
মাদ্রাসায় ভর্তি ও রেজিষ্ট্রেশনে মেয়ের জন্মনিবন্ধনে মেয়ের জন্ম তারিখ ছিলো ২৫-০৪-২০০৪ অথচ এই ছেলেকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নতুন একটি জন্মনিবন্ধন বানিয়েছে ২৫-০৪-২০০৬, মাদ্রাসার ভর্তি এবং রেজিষ্ট্রেশনে ২৫ এপ্রিল২০০৪ সালে মেয়ের জন্মনিবন্ধন জমা দিলেও নতুন করে ২৫ এপ্রিল ২০০৬ বানিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেনা ছেলে এবং মেয়েকে।
এইদিকে বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আক্কাস জানান৷ এই নিবন্ধনের ব্যাপারে তার কোনো কিছু জানা নাই।
এমন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হয়রানি বন্ধের দাবী জানানো হয়।
একই ব্যক্তির নামে দুইটি জন্মনিবন্ধন বানিয়ে ঘাতকতা করেছে রাষ্ট্র এবং সমাজের সাথে, এই নতুন জন্মনিবন্ধন বানানোর কাজে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা এখন সময়ের দাবী।