প্রিয়জনের মৃত্যু শোক সহ্য করা কারো কারো পক্ষে সম্ভব হয় না। আর তিনি যদি হোন মা অথবা বাবা, তাহলে সেটা আরো কঠিন। বুকের ভেতরটা হাহাকার করতে থাকে! প্রতিনিয়ত যিনি পাশে ছিলেন, তিনি আর কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করবেন। নাম ধরে ডাকবেন না। প্রিয় মানুষটির ছায়ায় থাকার ইচ্ছেটা তখন আরো প্রবল হয়। যেমনটা হয়ত হয়েছিল আরিফ হোসেনের (৩০)। বাবার মৃত্যু শোক সহ্য করতে পারেননি তিনি। সাথে সাথে স্ট্রোক করেন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, গত সোমবার (২১ আগস্ট) পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার নুরুল ইসলাম (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা যান। বাবার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া মাত্র ছোট ছেলে আরিফ হোসেন স্ট্রোক করেন। তাকে ঢাকার শ্যামলী হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
বাবা ও ছেলের মৃত্যুতে তাদের পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।