বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মসজিদ ইন্দোনেশিয়ায়, সংখ্যায় প্রায় আট লাখ। দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত, সংখ্যায় তিন লাখ (News East West-এর খবর)।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মসজিদ ইন্দোনেশিয়ায়, সংখ্যায় প্রায় আট লাখ। দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত, সংখ্যায় তিন লাখ (News East West-এর খবর)।
মসজিদ নেই এমন তালিকায় স্লোভাকিয়া শীর্ষস্থানীয়। স্লোভাকিয়ায় অন্তত পাঁচ হাজার মুসলিমের বসবাস। মোট জনসংখ্যার প্রায় ০.১ শতাংশ। এখানকার মুসলমানরা বহুবার মসজিদের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। অথচ ২০১৬ সাল থেকে সেখানে ‘ধর্মীয় পরিচয় নির্দিষ্ট না করার’ একটি আইন বলবৎ হয়েছে।
মসজিদবিহীন আরেকটি দেশ এস্তোনিয়া। সেখানে দেড় হাজারের বেশি মুসলিমের বসবাস। জনসংখ্যার ০.১৪ শতাংশ। এ দেশেও মসজিদ নেই।
মসজিদবিহীন আরেকটি দেশ মোনাকো। এখানেও বিপুলসংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস। এটি পশ্চিম ইউরোপের একটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ। আয়তন প্রায় ২.০২০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৭ হাজার ৩০৮-এর মতো। জনসংখ্যার ৮৩ শতাংশ খ্রিস্টান। তিন দিকে ফ্রান্স আর অন্যদিকে ভূমধ্যসাগর। ইতালির খুব কাছাকাছি। মোনাকোতে ১২৫ দেশের মানুষ বসবাস করে। কিন্তু এখানেও মসজিদ নেই। কাজেই ওই সব দেশে ফ্ল্যাট, দোকান, গ্যারেজেই নামাজ আদায় করে মুসলমানরা।
মসজিদবিহীন আরেকটি দেশ ভ্যাটিকান সিটি। এটি পোপের দেশ, ইউরোপিয়ান দেশ ইতালির রোম শহরের মধ্যস্থলে প্রাচীর দিয়ে বেষ্টিত স্বাধীন রাষ্ট্রের নাম ভ্যাটিকান সিটি। ছোট এ দেশটি পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত। দেশটির আয়তন মাত্র ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার বা ১১০ একর। এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র। এখানকার রাষ্ট্রনেতা হলেন পোপ। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থান’ এবং খ্রিস্টধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে এটি বিবেচিত হয়। এই দেশে নেই কোনো মুসলমান, নেই কোনো মসজিদ।
মসজিদবিহীন আরেকটি দেশ উরুগুয়ে। উরুগুয়ে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে অবস্থিত একটি দেশ। খ্রিস্টান অধ্যুষিত উরুগুয়েতে ৯০০ থেকে ১০০০ ইসলাম ধর্মাবলম্বী বাস করে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ০.০২ শতাংশ। দেশটিতে নেই কোনো মসজিদ। তবে সেখানে তিনটি ইসলামিক সেন্টার আছে। এগুলো হলো- ১. মুসাল্লাহ আল হাজিমি। ২. ইজিপশিয়ান কালচারাল ইসলামিক সেন্টার। ৩. ইসলামিক সেন্টার উরুগুয়ে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
ইসলামিক স্টাডিজ, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর।