বৃষ্টির বিষন্নতা ও জাপটে ধরা শীতে দিনটা ছিল গানের। অনুষ্ঠানে গিয়ে তাই মানে হয়েছে। অহেতুক বক্তৃতা নেই, আড্ডাবাজী নেই। এ যেন মনোযোগী শ্রোতার সম্মেলন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুর ও সঙ্গীতের দেশ। সংস্কৃতির বিদগ্ধজনের বসবাস। সেখানে আরেকটি রত্ন Saroar Mahin Saroar Mahin সারোয়ার মাহীন কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীতায়োজক, সুর সংযোজক, সুসংগঠক।
৮ ডিসেম্বর’২৩ শুক্রবার সন্ধ্যা ছিল মাটির সুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে সেগুনবাগিচাস্থ কচিকাঁচা মিলনায়তনে সাতজন উদীয়মান গীতিকবি প্রতিভার স্ফূরণ ঘটান।
তাঁরা যথাক্রমে মুহাম্মদ মোমিন মিয়া, ইলিয়াস আহমেদ, আলমগীর হোসেন, মুক্তা পারভীন, সৈয়দ তৌফিক কামাল, এম. এইচ রশিদ ও রুনা লায়লা। কবিদের উপস্থিতিতে তাঁদের কথা বিন্যাসে ছিল সুরের আয়োজন। সঙ্গীতের ভালোলাগা ছুঁয়ে গেছে উপস্থিত স্রোতার হৃদয় নদী। অসাধারণ একটি সন্ধ্যা। সুরের ঢেউ দোলা দিয়ে গেল মনে। অপরিচিত নন গীতিকারবৃন্দ, কি অসাধারণ গীতল কাব্যসূধা তাঁদের সৃষ্টিতে, বলে বোঝানো যাবে না। সুরের চুম্বনে, বাদ্যযন্ত্রের সঠিক শব্দতরঙ্গে ঘোরলাগা সময় কি করে গেল চলে স্রষ্টাই জানেন। এটি একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন। গান সুরের উপর নির্ভরশীল। গানের কথা ও অন্তর্নিহিত চিত্রকল্প নির্ধারণ করে কোন পথে হাঁটবে সুরকার। কথা, সুর ও কণ্ঠ মিলেমিশেই কবিতাময় গান। প্রতিটি গানই কবিতা, প্রতিটি কবিতা গান নয়। সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সরোয়ার মাহীন সৃষ্টির মুগ্ধতায়, কন্ঠের আবেশে ছড়ানো যাদুতে আমাদের জড়াতে পেরেছেন, এ যেন আমারই কথা যাচ্ছে বলে, সৃষ্টির উল্লাসে, সুরের মাধুর্যে।
সরোয়ার মাহীন ও সাতজন গীতিকারের ভিন্নরকম উপস্থাপন নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ দেখাবে। সরোয়ার মাহিনের এই উৎরে যাওয়ার গল্পই সাফল্যের সোনালি পালক। আমাদের উৎসাহিত করবে।
মো. সোহাগের উপস্থাপনায় এবং মাটির সুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ টিমের অক্লান্ত পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। তারাই মূলতঃ একটি সফল অনুষ্ঠানের অনুঘটক।