সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কয়েক জায়গায় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো ঠিকাদার মেরামত করে দেবে। কাজ এখনো চলমান। কাজ শেষে অভিযোগ এলে, আসতে পারে- এখন নয়।
ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম ও ঠিকাদারের লোকজন এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করাসহ নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। দুই দিনের কয়েক ঘণ্টার হালকা বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে সড়কের ২৫ থেকে ৩০টি স্থানে। ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। অনেক স্থানে উঠে গেছে কার্পেটিং। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সাইফুল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কই নয় মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক, মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক, কুষ্টিয়া মেডিকেলসহ বিভিন্ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সাকিবুল হোসেন নামে এক পথচারী বলেন, সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে যাচ্ছে। একদিনের বৃষ্টিতে রাস্তার দুই পাশের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। জায়গায় জায়গায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সামিউল বাসার বলেন, রাস্তার দুই সাইড ভেঙে গেছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে। সবচেয়ে ভালো হতো রাস্তার দুই সাইডে ঢালাই দিয়ে মাটি দিয়ে কাজ করলে মজবুত হতো। এখন বর্ষাকাল। এ বর্ষায় পিচ না করে বর্ষার পরে করলে ঠিক হতো। এখানে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তাও নিম্নমানের।