কোটা আন্দোলন চলাকালে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে শহীদ জন। তার মৃত্যুর পর পাল্টে যায় বাংলাদেশের ইতিহাস। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন ঢাকার ১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে আবু সাঈদের বাড়িতে যান ১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি প্রতিনিধি দল।
সেখানে কবর জিয়ারত শেষে তার পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। তারা আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, ভাই আবু হোসেন মাসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটান এবং সমবেদনা জানান।
এ সময় আবু সাঈদের বাবা বলেন, আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পরে প্রশাসন তড়িঘড়ি করে রাতেই লাশ দাফন করতে চেয়েছিলেন। প্রথমে তারা রাত ১২টায় লাশ দাফনের কথা বলেন। পরে ভোর ৬টায় লাশ দাফন করতে চেয়েছিলেন। পরিবারের লোকজন বাধা দেয়ায় সকাল ৮টায় লাশ দাফন করা হয়। আবু সাঈদের বাবা ছেলে হত্যার সাথে জড়িত সকলের ফাঁসি চান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচাররা আবু সাঈদের লাশটা ঠিক মত দাফন করতে দেননি। এর চেয়ে বড় অবিচার আর কি হতে পারে। তারা বলেন, গত ১৭ বছরের স্বৈরশাসকের পতন হলেও সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান ইউনিভারসিটি বাংলাদেশের হৃদয়,স্বজন, সামি, নর্থ সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের আয়তুল্লাহ বেহেস্তি, তানিম, আতিক, গ্রিন ইউনিভার্সিটির মারুফ তাহসিন, ইমরান, নদর্নন ইউনিভার্সিটির তৌহিদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকিন,সিফাত, ফারাবি, ফরিদ, ইউনিভারসিপি অফ এসিয়া প্যাসেফিকের লাবিব, বর্ণ প্রমুখ। পরে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান।