ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানা শহরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির মিছিল ও সমাবেশে হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। রোববার ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে বিএনপির পক্ষ থেকে এ মামলা করা হয়।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনসারুল হক ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের ভাতিজা পার্থ সারথী সেনসহ ৬৯ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য রুহিয়া থানাকে নির্দেশ প্রদান করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গুম, খুন, হত্যাসহ সার, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টার আগেই সমাবেশ শেষ করার উদ্দেশ্যে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। শাসক দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশ বানচাল করতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এছাড়া সন্ত্রাসীরা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে বিএনপি রুহিয়া দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে কাগজপত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়।
অপরদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হকসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে রুহিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের ভাতিজা ও রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার ভাইয়ের ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে রুহিয়া থানা বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। একই সময়ে থানা মহিলা আওয়ামী লীগেরও সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। এতে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে তা রূপ নেয় মারপিট ও সংঘর্ষে। এ সময় সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হন। পুলিশ ৪ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।