বগুড়ার ধুনট থানায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শিমু খাতুনকে (৩৫) নির্যাতনের পর বিষপানে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে।
গতকাল শনিবার রাতে নিহত শিমু খাতুনের ফুফাতো ভাই বিদ্যুৎ হাসান বাদী হয়ে অভিযোগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ বছর আগে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী মবুয়াখালি গ্রামের ছফের শেখের ছেলে অটোভ্যান চালক আব্দুল আজিজের (৪২) সঙ্গে শেরপুর উপজেলার শহিদুল ইসলামের মেয়ে শিমু খাতুনের (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে বিয়ের পর থেকেই মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধর করে আসছিল আব্দুল আজিজ। এর এক পর্যায়ে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে আব্দুল আজিজ আবারো মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে তার স্ত্রী শিমু খাতুনের কাছে দাবি করে। কিন্তু স্ত্রী শিমু খাতুন টাকা দিতে অস্বীকার করায় আব্দুল আজিজ তাকে বেদম মারধর ও জোর করে বিষ পান করায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্ত্রী শিমু খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর পরই স্বামী আব্দুল আজিজ কৌশলে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে নিহতের ফুফাতো ভাই বিদ্যুৎ হাসান জানান, তার বোনকে বিষ খাওয়ানোর পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেই সে পালিয়ে যায়। পরে রাতেই তার বোনের মৃত্যু হয়। তার বোন শিমু খাতুন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কিন্তু তারপরও মাদকের টাকার জন্য মাঝেমধ্যেই তার বোনকে মারধর করা হতো।
ধুনট থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।