নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদী থেকে ইফসুফ নবী (২৩) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ ফেরিঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।নদীতে ভাসমান মরদেহটির প্রায় ১০ ফুট দূরে মেঘনার পাড়ে এক জোড়া জুতা ও বিষের একটি খালি বোতল পাওয়া গেছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোবিন্দ সরকার।
নিহত ইউসুফ নবী উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের সমীবাদ গ্রামের মো. নুরু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সায়দাবাদ নৌকাঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে এক যুবকের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা খবর দিলে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে নৌ ও থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া যুবকের পরনে জিন্স প্যান্ট ও কালো রঙের শার্ট এবং দুই হাতে মেহেদি দেওয়া ছিল। এ সময় তার কাছ থেকে দুইটি স্মার্ট ফোন ও নগদ টাকা পাওয়া গেছে। তবে সায়দাবাদ মেঘনার পাড়ে উপস্থিত আশপাশের গ্রামের লোকজন কেউ মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। পরে রাতে নিহতের স্বজনরার এসে মরদেহটি শনাক্ত করেন।
পরিবারের স্বজনরা জানায়, গত সোমবার (১০ অক্টোবর) নরসিংদী সদর উপজেলার মুরাদনগর এলাকার বাসিন্দা ললিত উদ্দিনের মেয়েকে বিয়ে করেন ইউসুফ। সন্ধ্যার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজনরা তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না। এর একদিন পরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেঘনা থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাবা নুরু মিয়া বলেন, আমার ছেলে সাতাঁর জানে না। এ জন্য সে নদীতেই নামে না। আমার ছেলেকে কেউ হত্যা করে নদীতে ফেলে এভাবে নাটক সাজানোর চেষ্ঠা করছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ছেলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। আর এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।