1. admin@mannanpresstv.com : admin :
লেখিকা: মুমতাহিনা জান্নাত মৌ এর গল্প // আমি_ফাইসা_গেছি - মান্নান প্রেস টিভি
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

লেখিকা: মুমতাহিনা জান্নাত মৌ এর গল্প // আমি_ফাইসা_গেছি

মুমতাহিনা জান্নাত মৌ:
  • Update Time : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ৯২ Time View
পাত্রপক্ষ দেখতে আসায় লক্ষ্ণী মেয়ের মতো চুপটি করে বসে আছে তোরা।কিন্তু পাত্রকে দেখামাত্র তোরার মাথা যেনো ৩৬০ ডিগ্রী কোনে ঘুরে গেলো।কারন পাত্র আর কেউ নয় তারই প্রেমিক কুশান।❞
❝কুশানকে দেখে তো তোরার খুশির হওয়ার কথা কিন্তু তার বদলে তোরার চোখমুখ রাগে শুকনো মরিচের মতো লাল হয়ে গেলো।আর কান দিয়ে কুয়াশার মতো ধোঁয়া বের হতে লাগলো।কারণ কুশান বলেছিলো তার ফ্যামিলি তাকে এক্ষুনি বিয়ে করাবে না।আরো পাঁচ বছর পর তার নাকি বিয়ের বয়স হবে।কারণ সে এখনো তার মায়ের কাছে একজন অবুঝ শিশু। তার বাবার কাছে একজন মাসুম বাচ্চা।আর তার বোনেরা মনে করে কুশান এখনো কিছুই বোঝে না।যার নাক টিপলে দুধ বের হয়।
অথচ সেই কুশান আজ বিয়ে করার জন্য তার বাবা, মা, চাচা, চাচি, কাজিন, তিনবোন আর তিন দুলাভাই অর্থাৎ পুরো গোষ্ঠী কে সাথে করে নিয়ে পাত্রী দেখতে এসেছে।❞
❝অন্যদিকে কুশান নিজেও ভয়ে আঁটোসাটো হয়ে বসে আছে।মনে হচ্ছে সে কোনো হরর ফিল্ম দেখছে।মুখখানা তার তেমনই দেখাচ্ছে।সে মনে মনে বলতেছে আল্লাহ আমারে উঠায় লও।তা না হলে আমার আজ আর রক্ষা নাই।কারন এই বিয়ে টা হলেও তার ১২ টা বাজবে আর না হলেও ১২ টা বাজবে।
তোরা যে কত টা রাগী আর জেদী মেয়ে তা কুশানের থেকে কেউ ভালো জানে না।একটু রাগ হলেই হাতের কাছে যা পায় তাই ছুঁড়ে মারে তাকে।একদিন তো রাগ করে মোবাইল ছুঁড়ে মেরে কুশানের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলো।কিন্তু কুশান সেটা তার বাড়িতে এক্সিডেন্ট বলে চালিয়ে দেয়। এরকম আরো অনেক ঘটনার সাক্ষ্ণী সে।❞
❝তোরার রুপের যাদুতে পাগল হয়ে তাকে সে প্রপোজ করেছিলো,কিন্তু এখন তার আচরণ দেখে না পারছে সইতে না পারছে তাকে গ্রহন করতে।তবুও লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতে হচ্ছে তাকে।কারণ তোরা প্রতিজ্ঞা করেছে মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত শুধু তার কুশানকেই চায়।
চাইবেই তো,কুশানের মতো এতো ভদ্র ছেলে সে পাবে টা কোথায়?এক বছরের রিলেশনে একটি দিন তার গায়ে হাত তোলে নি কুশান।অথচ তোরা অনেক বার হাত উঠিয়েছে।কুশান যদি রাগ করে তোরার সাথে কথা না বলে, দেখা না করে তাহলে তোরা তুলকালাম শুরু করে দেয়।তার বাড়িতে আসবে বলে ভয় দেখায়।কুশান সেই ভয়ে আবার নিজের থেকেই কথা বলা শুরু করে।❞
চুরি করে রিলেশন চালিয়ে গেলেও কুশান তোরাকে বিয়ের কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারে না।কারণ তাদের যৌথ পরিবার।বাবা, মা, দাদা,দাদী,চাচা,চাচী,কাজিন তো আছেই।তার সাথে আবার তিনবোন তাদের জামাইদের সাথে নিয়ে থাকে।যাকে বলে ঘর জামাই।মায়ের কথা মতো পুরো সংসার চলে।এই সংসারে থাকতে হলে মায়ের কথার উপর দিয়ে কথা বলা যাবে না।কিন্তু তোরা যে ঘাড়ত্যাড়া মেয়ে তাকে এ সংসারে বউ করে আনতে কুশানের ভীষণ ভয় লাগে।কারন শাশুড়ী আর বউ এক কোয়ালিটির হবে তখন।শাশুড়ী যদি দশ পা এগোয় তো বউ বিশ পা এগোবে।
🖤
❝কুশানের দুলাভাই শাহিন, মাহিন, তুহিন, তোরাকে দেখে শুধু বাহঃ বাহঃ করছে।আর বলছে কি লক্ষ্ণী মেয়ে!দারুন মানাবে আমাদের কুশানের সাথে।
অন্যদিকে ইরা,মিরা,লিরা রাগে শুধু ফোসফাস করছে। কারণ তাদের প্রত্যেকের ইচ্ছা নিজস্ব পছন্দের মেয়ের সাথে তার একমাত্র ভাই এর বিয়ে দেবে।সেজন্য তারা দেখাদেখিও শুরু করে দিয়েছিলো।কিন্তু চারজন পছন্দ করেছে চারজনকে।
অন্যদিকে কুশানের বাবা মিঃ জারিফ চৌধুরী আর মা মিসেস কামিনী চৌধুরী নিজেরাও মুখ গোমড়া করে বসে আছেন।কারণ জারিফ চৌধুরীর পছন্দ তার বন্ধুর মেয়েকে আর কামিনী চৌধুরীর পছন্দ তার বোনের মেয়েকে।সবাই সবার পছন্দ মতো মেয়ের সাথে কুশানের বিয়ে দিতে চায়।একজনের পছন্দের মেয়ের সাথে বিয়ে দিতে চাইলে আরেকজন ঝগড়া করে।
এই রকম একটা পরিস্থিতিতে শাহিন, মাহিন, তুহিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারো পছন্দের মেয়ের সাথেই কুশানের বিয়ে হবে না।ঘটকের মাধ্যমে সবাই মিলে মেয়ে দেখতে যাবে কুশান যাকে পছন্দ করবে তাকেই সে বিয়ে করতে পারবে।❞
❝এদিকে আবার চৌধুরী বাড়ির একটা নিয়ম আছে এ বাড়ির কোনো ছেলে মেয়ে বিয়ের আগে প্রেম করতে পারবে না।বিয়ের আগে এসব ফষ্টিনষ্টি তাদের পরিবারের কেউ এলাউ করে না।এজন্য কুশান শখের বসে প্রেম করেছে ঠিকই কিন্তু কাউকে বলার সাহস পায় নি।❞
🖤
সবাইকে চুপচাপ থাকা দেখে মিঃ জারিফ চৌধুরী বললো,মা তোমার নাম কি?
তোরা তার মিষ্টি সুরেলা কন্ঠে বললো,তোরা।
জারিফ চৌধুরী তখন হাসতে হাসতে বললো,তা কোন ফুলের তোরা?গোলাপ,গাঁদা না হাসনাহেনা?
জারিফ সাহেবের কথা শুনে সবাই হো হো হেসে উঠলো।
কিন্তু তোরা নিচ মুখ হয়ে রইলো।
জারিফ সাহেব তখন বললো, একটু মজা করলাম তোমার সাথে।আবার মাইন্ড কইরো না।
আচ্ছা,তুমি কি চা বানাতে পারো মা?
;জ্বি পারি
–মাশাল্লাহ,মাশাল্লাহ।
তোরার মিষ্টি কন্ঠ শুনেই জারিফ চৌধুরী পটে গেলেন।তার আর কিছু জিজ্ঞেস করার নাই।সেজন্য তিনি কামিনী চৌধুরী কে বললেন, আমার আর কিছু জিজ্ঞেস করার নাই,তুমি কিছু জিজ্ঞেস করো।
কামিনী চৌধুরী সেই কথা শুনে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি রান্নাবান্না করতে পারো?
তোরা তখন বললো, কখনো নিজের হাতে রান্না করি নি।তবে আম্মু যখন রান্না করতো তখন দাঁড়িয়ে থেকে দেখতাম।সেই হিসেবে মোটামুটি একটা আইডিয়া আছে।
কামিনী চৌধুরী সেই কথা শুনে মুখ ভেংচিয়ে বললো,রান্না দেখলেই কি শেখা যায়?না নিজের হাতে করতে হয়?তার মানে তুমি রান্নাবান্না পারো না?
কুশানের চাচী মিসেস লুতফা চৌধুরী তখন হুট করেই জিজ্ঞেস করলো,
বলো তো কোন রান্নায় হলুদ দিতে হয় না?
মিসেস লুতফা চৌধুরীর প্রশ্ন শুনে হঠাৎ তোরার রোস্টের কথা মনে হলো সেজন্য সে ঝটপট করে বললো,মুরগির রোস্টে।
তারপর মিসেস লুতফা চৌধুরী জিজ্ঞেস করলেন,ডালের টেস্ট বাড়ানোর জন্য কি দেওয়া হয়?
তোরা সেই কথা শুনে ভাবতে লাগলো।কিন্তু তার মাথাতে কিছুতেই আসছিলো না।তবুও আন্দাজে একটা ঢিল মেরে দিলো।
সে বললো, ফোঁড়ন।
এদিকে কামিনী চৌধুরী যখন দেখলো তোরা ফটাফট উত্তর দিচ্ছে তখন তিনি নিজে এবার জিজ্ঞেস করলেন,বলো তো ডিম সিদ্ধ হতে কত মিনিট সময় লাগে?
তোরা এবার পড়ে গেলো মহা ঝামেলায়।সে তো কখনো ঘড়ি ধরে ডিম সিদ্ধ করতে দেখে নি কাউকে।তবুও সে বললো,
মিনিয়াম ১৪-১৫মিনিট।
কামিনী চৌধুরী সেই কথা শুনে বললো,
সবই তো পারে দেখি।আর ঢং করে বললে পারো না।আসলে এখনকার মেয়েদের এটা একটা ফ্যাশন।রান্নাবান্নার কথা জিজ্ঞেস করলেই বলে পারে না।রান্নাবান্না শেখা কি অন্যায় নাকি?
কামিনী চৌধুরীর কথা শুনে তোরা মনে মনে ভাবতে লাগলো সে আবার কখন বললো রান্না পারে না?সে তো শুধু বলেছে নিজের হাতে রান্না করে নি কখনো।এই মহিলা তার শাশুড়ী হলে নির্ঘাত তার উপর মারাত্মক ভাবে টর্চার করবে।আর সবাইকে মিথ্যে মিথ্যে গল্প শোনাবে।
এবার জারিফ চৌধুরী কামিনী চৌধুরী আর লুতফা চৌধুরীর উপর রাগ দেখিয়ে বললো,
তোমরা কি কাজের মেয়ে খুঁজতে এসেছো যে শুধু রান্নাবান্নার কথা জিজ্ঞেস করছো?অন্যকিছু জিজ্ঞেস করো না?এই বলে তিনি তার মেয়েদের দিকে তাকালেন?তোমরা কিছু জিজ্ঞেস করছো না কেনো?এভাবে বোবার মতো চুপচাপ হয়ে আছো কেনো?
ইরা জারিফ চৌধুরীর কথা শুনে তোরাকে জিজ্ঞেস করলো,তুমি কি পার্লারে যাও?
;জ্বি না।
ইরা তখন মুখ ভেংচিয়ে বললো,তাহলে তো তুমি খুবই আনস্মার্ট একজন মেয়ে।
তোরা ইরার কথা শুনে রাগে ফুঁসতে লাগলো শুধু।কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে কিছু বললো না।তবে সে বিড়বিড় করে বললো,
তুই তো নিজেই একজন আনস্মার্ট মেয়ে।এতো বড় একটা বুড়া বেটি মাথা ভর্তি ক্লিপ মেরে এসেছিস।তার উপর আবার পিছনে দশ ইঞ্চির মতো চুল ফুলে তুলেছিস।
–কিছু বললা আমাকে?
;না আপু।আপনার মাথা বাঁধানোর স্টাইল টা বেশ ভালো লাগছে।
ইরা সেই কথা শুনে তার চুল বুলিয়ে বললো,হ্যাঁ ভালো তো লাগবেই।আমি সবসময় স্মার্ট থাকার চেষ্টা করি।
মিরা এবার জিজ্ঞেস করলো,তুমি কোন ব্যান্ডের মেকাপ ইউজ করো?
তোরা তখন বললো,আমি কোনো ব্যান্ডের মেকাপই ইউজ করি না।মুখে অল্প একটু ক্রিম দিয়ে জাস্ট পাউডার লাগালেই আমার সাঁজগোঁজ কম্পিলিট হয়ে যায়।
মিরা তখন বললো,তুমি তাহলে ফ্যাশনের কিছুই বোঝো না।ফ্যাশন সম্পর্কে কম অভিজ্ঞতা তোমার।আসলেই তুমি আনস্মার্ট একজন মেয়ে।
তোরার এবার ভীষণ রাগ উঠলো।তার মুখ ফসকে হঠাৎ বের হলো তা আপু আপনি কোন ব্যান্ডের মেকাপ ইউজ করেন যে মুখ টা সাদা সাদা হয়ে আছে?
;জ্বি কি বললা?আরেকবার বলো।
–না মানে আপনি খুবই ফ্যাশেনাবল আপু।দেখেই বোঝা যাচ্ছে দামী ব্রান্ডের মেকাপ ইউজ করেন।
;হ্যাঁ তা আর বলতে হবে না।আমার সব সাজগোজের জিনিস বাহিরের দেশের।এ দেশের কিছুই আমি ইউজ করি না।
লিরা এবার ইরা আর মিরাকে থামিয়ে দিয়ে বললো,তোরা এবার চুপ করবি? শুধু সাজগোছ নিয়ে কথা বললে হবে?মেয়ের পড়ালেখা কতদূর সেটা জিজ্ঞেস করেছিস কেউ?এই বলে লিরা বললো,
আই এম লিরা।আমি নোমানের থার্ড সিস্টার্স।আই হেভ নো কোশ্চেন। বাট শুধু একটা প্রশ্ন করবো?হোয়াট আর ইউ স্ট্যাডিং?
তোরা লিরার ইংলিশে কথা বলা দেখে মুখ টিপে টিপে হাসতে লাগলো কারন লিরা খুব স্টাইল করে করে কথা বলছিলো।তোরা এবার মনে মনে ভাবতে লাগলো কুশানের বোনেরা এমন কেনো?সে তো কোনো দিন তাদের বোন দের ব্যাপারে কিছু বলে নি।
এবার তোরা তার হাসি আটকিয়ে বললো,আমি এবার অনার্স ফাস্ট ইয়ারে। বাংলা নিয়ে অনার্স করছি।
লিরা তখন তাচ্ছিল্যের সুরে বললো,বাংলা?
ইংলিশের মূল্য টা সবসময় ই একটু বেশি।বাংলা নিয়ে অনার্স করে কি হবে?
কুশানকে দেখে এমনিতেই তোরার মাথা হিট হয়ে আছে তার উপর কুশানের বোনদের এমন উল্টাপাল্টা প্রশ্ন শুনে তার মেজাজ আরো বেশি বিগড়ে যাচ্ছে।কিন্তু তোরা তার রাগ সংবরণ করার চেষ্টা করলো।কারণ এখন কোনোমতেই তার রাগ করা চলবে না।তাকে যে করেই হোক প্রমাণ করতেই হবে সে লক্ষ্ণী একটা মেয়ে।
হঠাৎ তোরার মা বাবা মিসেস চামেলি বেগম আর মিঃ গোলাপ সাহেব নাস্তার ট্রে আর শরবতের গ্লাস গুলো নিয়ে এগিয়ে আসলেন।
আর তোরাকে বললো,মা সবাইকে নিজের হাতে নাস্তা দাও।
তোরা সেই কথা শুনে নিজেই সবার হাতে হাতে শরবত গুলো দিয়ে দিলো।কিন্তু কুশানের হাতে শরবতের গ্লাস টা দিতেই তোরা কুশানকে ফিসফিস করে বললো,
শরবতের গ্লাসে কিন্তু তোমার দেওয়া সেই পেট খারাপের ঔষধ আছে?কিছু একটা করো,তা না হলে সবার অবস্থা কিন্তু কাহিল হয়ে যাবে। এই বলে তোরা তার রুমের মধ্যে চলে গেলো।
তোরাকে এভাবে কথা বলত দেখে মিরা বললো দেখছিস আপু কেমন বেয়াদব মেয়ে?কুশানের সাথে কিভাবে ফিসফিস করে কি যেনো বললো?ভাইয়াকে বোধ হয় পটানোর চেষ্টা করছে।
ইরা সেই কথা শুনে বললো এই মেয়ে বেশি একটা সুবিধার হবে না মনে হয়।ঘটক সাহেব যে কোন ফ্যামিলির মেয়েকে দেখাতে নিয়ে এলো আমাদের সত্যি বুঝতে পারছি না আমি।
লিরা তখন বললো বাসায় শুধু যাই আগে তারপর শাহিন আর মাহিন দুলাভাই কে ধরবো।
ইরা সেই কথা শুনে বললো শুধু শাহিন আর মাহিন কে ধরবি কেনো?তোর তুহিনও তো আছে এর মধ্যে।
এদিকে শরবতের গ্লাস হাতে নিয়ে কুশান শুধু বার বার নিচ থেকে উপর পর্যন্ত দেখছে।কারন সে যে নিজেই তোরাকে পেট খারাপের ঔষধ এনে দিয়েছিলো যাতে পাত্রপক্ষ সেই খাবার খেয়ে ভুল করেও আর তোরাদের বাড়ি না আসে।কুশান তো ভাবতেই পারছে না নিজের হাতে এভাবে পেট খারাপের ঔষধ মিশ্রিত শরবত খেতে হবে তাকে। কুশানের পুরো শরীর এবার ঘামতে লাগলো।ফ্যামিলির সবার হাতে হাতে এখন এই শরবতের গ্লাস।এখন কি হবে?সে কিভাবে এই শরবত খাওয়া থেকে সবাইকে আটকাবে?
❝আসলে তোরা এক সপ্তাহ আগে কুশানকে বলেছিলো যে তাকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে।তুমি কিছু একটা করো।তখন কুশান বলেছে আমি এই মুহুর্তে বিয়ে করতে পারবো না।কারণ আমার পরিবারের কেউ চায় না আমি এক্ষুনি বিয়ে করি।তবে পাত্রপক্ষ তাড়ানোর জন্য কিছু টেকনিক শিখিয়ে দিতে পারি তোমাকে।তোরা কুশানের কথামতো সেই টেকনিক অবলম্বন করেছে।কিন্তু কুশান ভাবতেই পারে নি তার ফ্যামিলির সবাই তাকে তোরাকে দেখানোর জন্যই নিয়ে আসবে।❞

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Categories

© All rights reserved © 2022 mannanpresstv.com
Theme Customized BY WooHostBD