আত্মপ্রেমে মগ্ন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭৭ বছর বয়সী একজন নারী। অবশেষে প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের উপস্থিতিতে ওহাইওর গোশেনের ও’ব্যানন টেরেসের বাসায় নিজেকেই বিয়ে করে ফেললেন ওই নারী। ফিদেলি টুডে ডটকমকে বলেছেন ”সবার সম্মতিতেই আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি।’ ফিদেলি তার রিটায়ারমেন্ট হোমের সম্পত্তি ব্যবস্থাপক রব গেইগারকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করতে বলেন। ফিদেলির মেয়ে, ডোনা পেনিংটন তার মাকে একক বিয়ে দেওয়ার অভিনব সিদ্ধান্তটি নেন। এমনকি মায়ের বিয়ের দিন তিনি নিজের হাতে সব রান্না করেছিলেন। গোটা বাসা বেলুন দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। এমনকি মায়ের বিয়ের গাউনটিও নিজে পছন্দ করেছিলেন ডোনা। ফিদেলি একটি সাদা পোশাক পরেছিলেন বিয়ের দিন, যেটি ফুলের সাজে সজ্জিত ছিলো। পোশাকের সাথে মানানসই একটি রূপালী বেল্ট এবং একটি অলঙ্কৃত হেডব্যান্ড সহ ওড়না পরিধান করেন। ফিদেলির হাতে সাদা লিলিফুল তাঁর আত্ম প্রেমের প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হয়।ফিদেলির মতে ”অনেকেই লিলিফুল পছন্দ করেন, হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ান কিন্তু এর ভেতরের ছোট্ট পাপড়িগুলিকে উপেক্ষা করেন।কিন্তু এর ভিতরের অংশটি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেই ঈশ্বরের ভালবাসা সুপ্ত থাকে। তাই আমার মতো আপনারাও এভাবে চিন্তা করলে দেখতে পাবেন বিষয়টি কত সুন্দর।” সারাজীবন অন্যদের জন্য নিবেদিত থাকার পর, ফিদেলি অবশেষে নিজের স্বপ্ন অনুসরণ করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন, নিজেকে ভালোবাসার ইচ্ছে পূরণে নেমেছেন। ফিদেলি বলেন, “আমি আমার জীবনের সেই মুহুর্তে আছি যেখানে ‘আমি’ গুরুত্বপূর্ণ। আমার সন্তানরা সবাই ভাল, তারা আমার পাশে আছে।”
ফিদেলি ১৯৬৫ সালে প্রথমবার বিয়ে করেন। কিন্তু কোনো আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয়নি কারণ তিনি এবং তার প্রাক্তন স্বামী শান্তির ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং অনুষ্ঠানের ঠিক পরে তাঁর স্বামী নিজের কাজে চলে যান এবং ফিদেলিও নিজের বাসায় ফিরে আসেন।
সূত্র : টাইমস নাও