শিউলী খান,নিজস্ব প্রতিবেদক:- ১। কবি,সাহিত্যিক,গীতিকার, নাট্যকার,ঔপন্যাসিক, গাল্পিক সবাই কলম সৈনিক।এঁরা সমাজ বিনির্মানে নিরবে নিভৃতে আমৃত্যু কলম চালিয়ে যান,কিন্তু কবি সাহিত্যিকদের সুখ-দুঃখ বলার জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রনালয় নেই ফলে মেধার মূল্যায়ণ হয় না।
২।অনেক মেধাবী কবি /সাহিত্যিক আছেন যাঁরা মেধাবী কিন্ত অস্বচ্ছ। তাঁদের পাণ্ডুলিপি জীবদ্দশায় প্রকাশ করতে পারেন না,অনেকের লেখা বা গবেষণা পত্র মৃত্যুর পরে প্রকাশ পায় এবং মৃত্যুর পরে আমরা জন্মজয়ন্তী অথবা মৃত্যৃবার্ষিকীতে কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই। সাহিত্য মন্ত্রনালয় থাকলে মন্ত্রনালয়ে তাঁদের তালিকা তৈরী করে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে কবি,সাহিত্যিকবৃন্দ জীবদ্দশায় সন্মানিত ব্যাক্তি হিসেবে সমাজে পরিচিতি পেতেন।
৩। সাহিত্য মন্ত্রনায় থাকলে মন্ত্রনালয়ে অফিস উপজেলা পর্যায়ে থাকতো ফলে সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক যে সকল অনুষ্ঠান ঢাকা কেন্দ্রিক সেগুলো জেলা/উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলে সহজেই সবাই উপস্থিত হয়ে নিজেদের মেধা বিকাশের সুযোগ পেতেন।
৪।ঢাকায় বসবাসরত কবি/সাহিত্যিকবৃন্দ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্টিংমিডিয়ার যে সুযোগ পেয়ে থাকেন মফস্বলের কবি/সাহিত্যিকবৃন্দ এসকল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
তবে সাহিত্য মন্ত্রনালয়ে কবি, সাহিত্যিকদের নামের তালিকা থাকলে এজাতীয় বৈষম্য দূর হবে।
৫।যাঁরা সাহিত্য চর্চা করেন তাঁরা অনেকেই বিত্তবৈভবের
মালিক না। কবি/সাহিত্যিকবৃন্দ সন্মানিত, সুশিক্ষিত সুতারাং তাঁদের সঠিক মূল্যায়ণ এখন সময়ের দাবী।
(এম.এ.মান্নান. মান্না , প্রচার সম্পাদক গাঙচিল সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ, উত্তরা শাখা।)