হড় হড় করে বমি করে বিছানা ভাসিয়ে দিলাম আমি।আর মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম নিতুলের বুকের উপর।নিতুল একহাতে আমায় জড়িয়ে ধরে অন্য হাতে আমার নাভী চেপে ধরলো। তবুও বমি কমছিলো না। তখন দৌড়ে এলেন আমার শাশুড়ি ইয়াসমিন বেগম।তার হাতে লেবু পাতা। তিনি সেই লেবু পাতা কচলে আমার নাকের কাছে ধরলেন।বমিটা তখন কমলেও সকালে আবার শুরু হলো। সেই হড়হড় করা বমি। তারপর খেতে বসলে খাবারে অনীহা। কেমন যেন একটা বোটকা গন্ধ সব সময় নাকে লেগেই থাকে!
আমার শাশুড়ি মা বেশ চিন্তিত হয়ে গেলেন আমায় নিয়ে। বিয়ের তিন চারদিনের মাথায় একটা মেয়ের এমন হবে কেন? তিনি আমায় দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন। ডাক্তার আমায় দেখে পরীক্ষা দিলেন। রিপোর্ট এলে তিনি আমার শাশুড়িকে বললেন,’আপনার জন্য বিশেষ সুখবর আছে!’
আমার শাশুড়ি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললেন,’কী সুখবর?’
তরুণ আর সুন্দর চেহারার ডাক্তার সাহেব মিষ্টি করে হেসে বললেন,’আপনি দাদি হতে চলেছেন।’
আমার শাশুড়ি কথাটা শুনে মুখ আঁধার করে ফেললেন।আর আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত যেন মুহুর্তে ঘেমে উঠলো।
ডাক্তার সাহেব আমাদের এমন অবস্থা দেখে বললেন,’কী ব্যাপার আপনারা দেখি সুসংবাদ পেয়েও অসন্তুষ্ট!’
আমার শাশুড়ি অতি কষ্টে হেসে বললেন,’না না খুশি হবো না কেন?আসি।আজ আসি।’
তারপর ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে এলাম আমরা। বাইরে এসে জনশূন্য একটা জায়গায় আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে আমার শাশুড়ি বললেন,’তোর বাপ একটা দুই নম্বর জিনিস আমার বাড়িতে চালান করে দিয়েছে!এই জন্যই তো না চাইতেই কত কী উপঢৌকন দিয়ে দিলো বিয়েতে! আমি তোকে আর আমার বাড়ি পর্যন্ত নিবো না।বেশ্যা মেয়ে ছেলে আমার ঘরের চৌকাঠ পেরুতে পারবে না!’
আমার হঠাৎ করে কান্না পেয়ে যাচ্ছিলো। কারণ আমি আগে স্বতর্ক থাকা সত্ত্বেও এমন ভুল হয়ে গেছে। বাবা মাও তো এই ব্যাপারে কিছু জানে না।জানি শুধু আমি আর নিতুল। এখন কী হবে?
আমার শাশুড়ি বললেন,’বাড়িতে গিয়ে তোর বাপ মাকে বল তুই যার সাথে শুয়ে পেট বড় করেছিস তার কাছে তোকে তুলে দিতে!’
শাশুড়ির এই কথা শুনে লজ্জায় এবং ঘৃণায় আমার চোখ ফেটে জল এসে গেল। হঠাৎ মাথাটাও কেমন ঘুরে উঠলো।পেটে চক্কর দিয়ে শুরু হলো বমি। এমন ভাবে বমি হচ্ছে মনে হচ্ছিল যেন আমি এক্ষুনি মরে যাবো। গতদিন আমার বমির শব্দ শুনে যে শাশুড়ি দৌড়ে লেবুপাতা নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। সেই শাশুড়ি আমার বমি করার দৃশ্য দেখে যেন আজ মজা লুটছে।
আমি অতি কষ্টে একটা বিদ্যুতের থামে ভর করে দাঁড়িয়ে বমি করতে লাগলাম।আর এক হাতে নিজেই নিজের নাভিতে শক্ত করে চেপে ধরলাম।আর এই সময় মনে করতে লাগলাম নিতুলের কথা।নিতুলের সাথে আমার প্রথম বিয়ে হয়েছে আরো এক বছর আগে। সেই বিয়ে ছিল আমাদের লুকোনো বিয়ে।আমরা যে প্রেম করে গোপনে বিয়ে করেছি সেই প্রেম কিংবা বিয়ে সম্পর্কে কেউ জানতো না।জানতো না নিতুলের জন্যই।সে খুব চতুর টাইপের ছেলে। আর নিতুল আমায় বলেছিল তার পরিবার খুব কড়া এইসব বিষয়ে। তাদের ছেলে প্রেম করে কাউকে বিয়ে করছে এমন খবর শুনলে নাকি তাকে তেজ্য পুত্র করে দিবে তার বাবা মা।এর আগে নাকি এমন কারণে নিতুলের এক চাচাতো ভাইকেও তেজ্য করা হয়েছে।কী সাংঘাতিক ব্যাপার!এই জন্যই তো আমাকে সবকিছু লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল।
তারপর আবার নতুন করে একজন ঘটকের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হলো।আর আমাদের দুই পরিবারের কেউই জানে না নিতুল আর আমার আগে থেকেই পরিচয় আছে।
কিন্তু এখন যে এই ঘোর বিপদে পড়েছি এখন আমার কী হবে?
নিতুলের কাছে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে তো আমি কিছু করতেও পারবো না। এমনকি শাশুড়ির কাছেও কিছু বলতে পারবো না।আর শাশুড়ি যে আমায় এক্ষুনি বাড়িতে চলে যেতে বলছেন বাড়িতে গিয়ে আমি কী জানাবো বাবা মাকে?
‘
আমার শাশুড়ি ইয়াসমিন বেগম আমায় এখানে
রেখে কখন অদৃশ্য হয়ে গেছেন সেই খেয়ালই করিনি আমি।বমি থামলে হঠাৎ সামনে চেয়ে দেখি তিনি এখানে নাই। তারপর আস্তে আস্তে হেঁটে আশেপাশে খুঁজেছি। কোথাও তিনি নাই।
তাহলে তিনি আমায় এখানে রেখে বোধহয় বাড়িতেই ফিরে গেছেন। আমার মতো অসতীকে তিনি সাথে করে নিয়ে যাবেন কেন? কিন্তু আমার মাথা ঘুরতে লাগলো এই ভেবে যে আমি নিজেকে কী করে সতী প্রমাণ করবো!
‘
রাস্তার ধারে একটা ইটের উপর বসে থেকে ভাবছি কী করবো আমি! এদিকে সন্ধ্যা গলে গাঢ় রাত্রি নেমেছে পৃথিবীতে। দূরের সব বাতি জ্বলে উঠেছে শহরে। কিন্তু আমি যেখানে বসে আছি এখানে কোন বাতি নেই। কারণ এই জায়গাটা জনশূন্য। কেন জন শূন্য কী জানি!
এখানে বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না।উদ্দেশ্যহীন এখানে বসে থেকে লাভ কী?এটা তো আর সিনেমার কোন গল্প নয় যে নায়িকা ঘোরতর বিপদে এভাবে অন্ধকারে একা একা বসে থাকবে আর হুট করে কোথা থেকে যেন নায়ক এসে তাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে!
কিন্তু এখান থেকে উঠেই বা কোথায় যাবো আমি?কার কাছে গিয়ে এসব কথা বলবো? আমার তো মনে হয় বাবা মাও এসব কথা বিশ্বাস করতে চাইবে না।তারা সন্দেহ করে বলবে কার সাথে তোর সর্ম্পক ছিল বল? অবশ্য একটা গুন্ডামতো ছেলে যার নাম হিমেল সে আমার পেছন পেছন সব সময় ঘুরতো।বাবা মা যদি হিমেলকে নিয়ে আমায় সন্দেহ করে!
‘
মশা কামড়াচ্ছে আমার হাতে পায়ে।আর হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখলাম আমার কাছ দিয়েই একটা মাঝ বয়সী লোক একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে নিয়ে হেঁটে হেঁটে পেছনে যে পুরনো আধ ভাঙ্গা ভবনটা আছে সেই ভবনটার দিকে চলে গেল।বিষয়টা আমি বুঝতে পারলাম না। খানিক পর আরেকটা অল্প বয়স্ক ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে এসে বসলো আমার থেকে খানিক দূরে ।আর ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে আমার সামনেই মেয়েটির গা থেকে কাপড় গুলো খুলে নিলো।আর মেয়েটি কী সব অশ্লীল কথা বলতে লাগলো ছেলেটির সাথে। তখন আমি বুঝতে পারলাম আসলে এই জায়গাটি দিনে জনশূন্য থাকলেও রাতে এটা জনপূর্ণ। এবং এটা কোন ভালো জায়গা নয় পাপ পুরি।পাপ যেখানে হয় সেখানে সব সময় অন্ধকারে ঢাকায় থাকে। আমার এখন খুব ভয় করছে। যেভাবেই হোক এখান থেকে জলদি আমার কেটে পড়তে হবে।না জানি কখন এসে নিজের উপর বিপদ চেপে বসে।
কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয়।ভাবার সাথে সাথেই বিপদ শুরু হয়ে গেল। হঠাৎ একদল ছেলে এসে আমার চারধার ঘিরে ধরলো। তারপর ওদের থেকে একটা ছেলে আমার শরীরের কাছে এসে নাক টেনে ঘ্রান শুঁকে নিয়ে বললো,’এরে বাবা, এতো অনেক দামি জিনিস রে!’
আরেকটা ছেলে তখন আমার পিট টিপে দিয়ে বললো,’একেবারে বালিশের মতো নরম!’
আমি ভয়ে কেঁপে উঠলাম।
তখন একটি ছেলে বললো,’ফিশ কতো রে তোর?ঘন্টায় কত নিস?’
আমি কেঁদে ফেললাম ভয়ে।আর বললাম,’আমি ভালো মেয়ে ভাই। আমাকে যেতে দিন আপনারা।’
কথাটি বলে উঠে দাঁড়াতে চাইতেই দুটো ছেলে আমায় পেছন থেকে আঁকড়ে ধরলো।আর একটি ছেলে এসে আমার বুকে তার হাত ছুঁয়ে দিয়ে বললো,’ফিশ বাড়াতে সব মাগীরাই প্রথম প্রথম এমন বাহানা করে। কিন্তু তোকে আমরা ফিশ টিস কিছুই দিবো না আজ!হা হা হা।’
বলে এই ছেলেটা আমার চুল টেনে ধরে আমার ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁয়াতে চাইলো।আর তখন আমার এমন বমি শুরু হলো!বমিতে একেবারে ওই ছেলেটার সারা শরীর নষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু এই ছেলেগুলো এতোই নোংরা যে আমায় নিয়ে বমি করা অবস্থায়ই কাড়াকাড়ি করতে শুরু করলো।যেন ওরা কোন মানুষ নয়, ক্ষুধার্ত কুকুর। অনেক দিন পর সামান্য খাবার পেয়ে কার আগে কে খাবে তা নিয়ে ওদের মধ্যে ভীষণ প্রতিযোগিতা!
ছেলেগুলো আমায় ফেলে দিলো নীচে। তারপর আমার শরীর থেকে এক এক করে খুলে নিতে লাগলো কাপড়। আমার নীচে উঁচু নিচু পাথর আর ইঁটের টুকরো। পিঠে ভীষণ ব্যাথা পাচ্ছি।আর সতীত্ব সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে শিউরে উঠছি বারবার।ওরা কী তবে আমার সতীত্ব হরণ করেই ছাড়বে?
আমি গলা ছেড়ে চিৎকার করে উঠলাম।
‘বাঁচাও! প্লিজ কেউ বাঁচাও আমায়!’
ওদের থেকে অনেক কসরত করছি আমি বেঁচে যেতে কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আমি একা কিছুতেই ওদের হাত থেকে বাঁচতে পারবো না।আমায় কী কেউ বাঁচাবে?
‘
চলবে