– নীল কাব্য
স্বপ্নেরা উড়াল দেয় ঝাঁক বেঁধে,
এক আকাশ হতে অন্য আকাশে অচীন পথে।
এখন আর স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট হয়না,
রাতের বুক চিরে চিৎকার করে তোমায় খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হইনা,
অনেকটা পথ পাড় হয়ে বুঝতে পেরেছি তুমি আমার জাগতিক নও,
নও আমার হতে ভিন্ন।
আমারই মাঝে তোমার অবাধ বিচরণ,
যেনো একে অপরের প্রতিচ্ছবি।
আমার মাঝেই তুমি সর্বত্র,আমার মাঝেই বিলীন।
গভীর নিঃশ্বাসে নিঃশব্দের দমকা হাওয়া ছুঁয়ে যায় আদরে-আদরে ভালোবেসে।
সাগরের নোনা জল চুমে যায় কদম অবলীলায়,অবাক দৃষ্টি!
আমায় সম্মোহিত করে তোলে ভালোবাসার অনুরাগে।
এক অদৃশ্য অদ্ভুত বাঁধনে জড়িয়ে আছি অনুভবে অনুযোগে অভিমানে!
আবার হয়তো কোনটাই নেই, কারণ এক অভিন্ন সত্তার ভালোবাসা।
সন্ধ্যার লগ্ন যেন বিষন্ন আর আনন্দের মাখামাখি।
যদি হিসেবের খাতা নিয়ে বসি জীবন থেকে একটি দিনের বিদায়,
বিষন্নতা জাগায় এই ভেবে দিন ফুরচ্ছে কিন্তু করা হয়নি কিছুই নিজের জন্য,
সমাজের জন্য, মানুষের জন্য।
কারণ মানুষ হয়ে জন্মেছি যখন মানবিকতাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
কিন্তু মানি ক’জন! বুঝি ক’জন!!!
অনলাইন এখন আত্মপ্রচারের বাহক মাত্র এর বেশি কিছু নয়।
নতুন সূর্য নতুন দিন আরো একটি নতুন সুযোগের সৃষ্টি করে বিধাতার অসীম কৃপা।
তাঁর প্রতি শুকরিয়া জানাই আনন্দ চিত্তে।
আমার কাছে,অনুভব বাতাসের চেয়ে হালকা,
ব্যপ্তির দূর্বোধ গভীরতা অকল্পনীয়।
অদেখার দেয়ালে আড়ালে বন্দী তবুও সে আমার মাঝেই সমাহিত অভিন্ন সত্তায়।
সেই আমার আরাধ্য! ভালোবাসার রঙে আরাধনা! যে মিশে আছে শ্রদ্ধায়,আস্থায়।
বিদায়ী সূর্যের আবেদন,
জেগে উঠুক প্রকৃত মানবতা হেসে উঠুক মানবকূল।
মাথা উঁচু করে প্রকৃতি দেবীর আর্শীবাদে বেঁচে উঠুক আমাদের মরণমুখী পৃথিবী।
সবুজে ছেয়ে যাক বসুন্ধরা।