তুই এলি শিশির পাড়িয়ে অঘ্রাণে, যখন হেমন্তের শেষবেলা
আকাশটা কুয়াশায় মাখামাখি, কখনো মেঘ-রোদ্দুর খেলা,
পৌষের বেলা শুরু হতে বেশী নেই দেরী
মেঘেদের জটলা, বৃষ্টি আসুক এলোপাথারি
তুই আমি ভিজবো, আয় না, আজ খুঁজে নিই কিশোরবেলা।
মাঠে মাঠে সোনালী ধান, উড়ে যায় কত পরিযায়ী পাখি
চল ফড়িং ধরি, ওই দেখ সবুজের মাঝে হলুদের উঁকি,
জীবন এসে দাঁড়িয়েছে শেষ প্রান্তে
কেমন আছিস ইচ্ছে করে জানতে!
আমার দিন কাটে খুব ব্যস্ততায়, অবসরে কবিতা লিখি।
মনে আছে তোর? নদীর ধার ধরে এঁকেবেঁকে কত ছোটা
তোর সাথে হারতাম বারবার, কত দিতিস আমায় খোঁটা
কিশোর প্রেমটা আর হলো না গাঢ়
“এমনি করে তুমি চলে যেতে পারো!”
চিঠিতে লিখেছিলিস, আমার চোখে সেদিন অশ্রু কয়েকফোঁটা।
শুধু হারিয়ে ফেলেছি তুইটাকে, তোর স্মৃতি একটাও হারাইনি
দিগন্তরেখা বরাবর ছুটেছি, মাটির সাথে আকাশের কানাকানি
সাঁকোর নিচে পা ঝুলিয়ে দুলিয়েছি কত
জানিস! বুকটায় এখনো আছে একটা ক্ষত
মাঝে মাঝে তুইও কি আমার কথা ভাবিস! কি জানি….!
এখনো সর্ষে ক্ষেতে হলুদ ফুলগুলো ফোটে? তুই চুলে পরিস?
তোকে পাগলী বলে খ্যাপাতাম, তুই কত গালাগালি দিতিস!
এখনো কি তেমন করেই বেণী বাঁধিস?
আমি তোকে বলতাম, কি লাগছে! ইস!
খুব মনে পড়ে তোকে, এ মনেই তুই চিরকাল বাঁধা আছিস।
যেখানে আছিস, যেমন আছিস, তুই খুউব ভালো থাকিস।