গত শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩ । কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র, কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো- কুমিল্লা কবি পরিষদের সাহিত্য আড্ডা। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লায় সকাল থেকে হিম কুয়াশার বুক চিরে শহর-নগর-গ্রাম এবং দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের শতশত সাহিত্য প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয় কুমিল্লার কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রাঙ্গন। কুমিল্লা কবি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি – আর. মজিব এর সভাপতিত্বে, শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা পাঠ এবং জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে- খাজিনা খাজি ও তুহিন আহামেদ এর সঞ্চালনায় শুরু হয় সাহিত্য আড্ডা। সাহিত্যের স্মৃতিচারণ, গান, কবিতা ও উচ্ছ্বসিত সাহিত্য প্রেমীদের বক্তব্য ছিলো জ্ঞান সমৃদ্ধ ও উপভোগ্য। বরাবরের মতোই- দেশ বাংলা প্রকাশন ও কুমিল্লা কবি পরিষদের যৌথ অর্থায়নে- অনুষ্ঠিত হয় সাহিত্য আড্ডা। অনুষ্ঠানের সার্বিক শৃঙখলা বজায় রাখার জন্যে ১ প্লাটুন ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যরা সার্বক্ষণিক সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং আর. মজিব এর ছোট ভাই হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে ১০জন সেচ্ছাসেবী হিসেবে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছেন। গোধূলি লগ্নে পুষ্পসজ্জিত ইনস্টিটিউটের সিঁড়ির দুপাশে জ্বলে উঠে মোম প্রদীপ। মূহুর্তেই সাহিত্য আড্ডা পরিণত হয় সাহিত্য মিলন মেলায়। এ এক অন্যরকম সাহিত্যে আড্ডা। কোনো প্রকার রেজিষ্ট্রেশন ফি ছাড়া এতটা ব্যয়বহুল ও সফল সাহিত্য আড্ডা ভার্চুয়াল সাহিত্যাঙ্গনে খুব কমই দেখা যায়। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট প্রবেশ করতেই আলপনায় মুগ্ধতা, পুষ্প আর মোমবাতির উজ্জ্বলতায় মুহুর্তেই প্রাণে স্পর্শ করানোর চেষ্টা, গোলাপ ফুল দিয়ে রিসিপশন, সাহিত্য আড্ডায় লেখালেখির অনুপ্রেরণা হিসেবে তিন শতাধিক লেখককে মেডেল পরিয়ে দেয়া হয়। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়, সাহিত্যাঙ্গন কিন্তু তার বাইরে নয়। ফেসবুক সাহিত্য সংগঠনগুলোতে কিছু সাহিত্য ব্যবসায়ীর আনাগোনার কারণে- অনেক লেখক এ ধরনের সাহিত্য আড্ডা বা অনুষ্ঠানের সমালোচনা করেন।
এ ক্ষেত্রে কুমিল্লা কবি পরিষদের স্পষ্ট বার্তা হচ্ছে- “যে সকল সাহিত্য সংগঠন শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে- তাদের আলোচনাটুকুও করুন। শুধু বিরোধিতার করার জন্য বিরোধিতা করা এমনটি যেন না হয়”। মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। কুমিল্লা কবি পরিষদ সাহিত্য প্রেমীদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সাহিত্য চর্চায় এগিয়ে যেতে চায় দূর হতে বহুদূর। কুমিল্লা কবি পরিষদ সাহিত্য আড্ডাকে মূল্যবান সময় দিয়ে যাঁরা অলংকৃত ও প্রাণবন্ত করেছেন- ১. কবি প্রাকৃতজ শামিম রুমি টিটন, কবি, লেখক, জ্ঞানতাপস, সঙ্গীতজ্ঞ। ২. এবিএম সোহেল রসিদ, কবি, কথাসাহিত্যিক ও অভিনেতা। ৩. জনাব, মশিউর রহমান ভূঞা, অধ্যাপক- বাংলা বিভাগ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। ৪ জনাব কাজী মুজিবুর রহমান, সাবেক অধ্যাপক- প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সহ সমগ্র বাংলাদেশের প্রায় ৭০ টি সংগঠন এর সংগঠক ও কবিগন উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন টিভি চ্যনেল ও পএিকার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। সারাদেশ থেকে জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত আবৃত্তি শিল্পী উপস্থিত হয়ে অনুষ্টানে আবৃত্তি করেন। এবং অনেক কন্ঠ শিল্পী উপস্থিত হয়ে কবিদেরকে গানে গানে মুগ্ধ করে তোলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা কবি ও লেখক, আবৃত্তি শিল্পী, কন্ঠ শিল্পী, সাংবাদিক, পাঠক এবং বিভিন্ন সংগঠকদের কুমিল্লা কবি পরিষদ এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানান কুমিল্লা কবি পরিষদের আয়োজক কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্টাতা আর মজিব এবং তিনি বলেন সাহিত্য আড্ডায় যারা উপস্থিত হয়ে, শ্রম, বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে আড্ডাকে সাফল্যমন্ডিত করেছেন সবাইকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।