অন্তঃসত্ত্বা মুহূর্তগুলো যেন ছটফট করছে
একটা কবিতার জন্ম লগ্নের,
মনের আনাচে কানাচে শত সহস্র লক্ষ কোটি
শব্দের সাম্রাজ্য চলমান ;
রাতের স্তব্ধতা কালো মেঘের চাদর সরিয়ে,
রচনা করতে চাইছে যেন,
কোনো এক দিনশেষে রূপকথায় সাঁঝবাতির
গল্প, এখন আর না বলে পারছি না।
শব্দগুলো আকাশময় নীলালোকের নিলায়নে
ছুটে চলছে একমুঠো স্বপ্নের সন্ধানে,
স্বপ্নগুলো নয় কোন যমুনার জলে ছলকে
পড়া কালিয় বিষের যন্ত্রণাধারা;
স্বপ্নগুলো লজ্জা মাখা কুহকের ঘ্রাণে পাওয়া,
অচেনা কিছু পারিজাতের গন্ধ!
যেখানে থাকে না স্বপ্নের দিকগুলো নিশ্চিন্তে,
স্বপ্নের আদল সেখানে মিথুনমুখী।
এমন একটা স্বপ্নের একটা নাম দেওয়া যেতেই
পারে, অন্তত একটা আকার,
শোনা যেতেই পারে স্বপ্নের মাঝে কোনো এক
মধুলেহি সুরেলা গমকের ঝংকার;
হোক না কিছু বিমর্ষতার হর্ষ লাভ কিছু চাওয়া
না পাওয়া স্বপ্নের সান্নিধ্যে এসে!
কিছু স্বপ্নের উচ্ছ্বসিত প্লাবনে খুলে যাক না,
সীতাহার ঝুমকো নাকের নোলক।
অগোছালো অধরা কিছু স্বপ্নের মাঝে থেকে
যাক, ভাঙা নীল চুড়ি স্মৃতি হয়ে,
থেকে যাক কিছুটা শিরশিরানি বে আব্রু কিছু
ভালোলাগা, তেঁতুল জলের মতো!
যেখানে সপ্তপদীর পরেও থাকে দশ পা, মান
অভিমানের খেলা প্রতিনিয়ত ;
অভিমানের পাহাড় ডিঙিয়ে সহস্র নীল পদ্ম
ফুটিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা।
আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা সেই নিভৃত স্বপ্নের মাঝে, এক
নির্জনতার ফাগুন উপহার দেওয়া,
কোনো অনিয়তাকার সরলরেখায় নির্ভর
কোরে, ভেসে যাওয়া যেতেই পারে!
ছায়াপথ মাড়িয়ে আকাশের শেষ সীমানা
পেরিয়ে দ্বৈত কণ্ঠে গানে গানে;
শুক্র গ্রহের অগ্নিকোণে, অলিখিত সেই
রূপকথায় সাঁঝবাতির সন্ধানে।