সব বিলিয়ে দিয়েছি জলের দামে ;
এখন চারিদিক শুধু কালো বিষাক্ত বাতাস!
মেঘমালাদের ভীড়ে একটুকরো নীল আকাশ খুঁজেছিলাম;
পাওয়া হয়নি!
মাটির বুকে দাঁড়িয়ে থাকা বিস্তৃত অরণ্যমাঝে খুঁজেছিলাম, নির্মল বাতাস;
কিন্তু হৃদপিণ্ড ভরেছে বিষাক্ত সাইনোসাইডে।
ছন্দময় জীবন পেতে খুঁজেছিলাম-
একজোড়া বিশ্বাসী হাত;
অসংখ্যায়িত বেদনার অন্ত্যমিলে
ছন্দপতন হারিয়ে ছন্দময় জীবনে
নূপুর বেজেছে অবিশ্বাসী ছন্দে।
যুবরাজ,
রূপকথার গল্পে শুধুই কি ছলনারা বাস করে?
ওখানে কি ভালোবাসা দেখোনি?
কাঙ্খিত মনের ক্যানভাসে নিপুণ হাতে এঁকেছিলে
বিচিত্র কারুকার্যে রূপকথার রাজ্য।
ক্ষ্যাপা হৃদয়ে, এক নিমিষেই তা কাটাকুটি দিয়ে
ফেলে গেলে আস্তাকুড়ে।
জেনেছি-
ও রাজ্যে স্বার্থের লেনদেনটা আকাশছোঁয়া।
ভালোবাসার সুরভী ঢেলে
তাতে সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে এভাবে
চলে যেতে নেই রাজকুমার!
তাহলে অন্তঃপুরের জ্যোৎস্নাভরা আলোরা
ছেয়ে যায় ঘোর অমানিশার আঁধারে।
বিস্তৃত মরুপথ হেঁটে যখন একচুমুক শীতল জলে পিপাসিত করলে ঠিক তখন আবারও ফেলে গেলে মরুপথের উষ্ণ বালুকায়। অবিশ্বাসীর দাবানলে ভালোবাসারা আজ মৃত অবশেষে!