এম এ কাদের অপু:
কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র বলা হয় লাকসামকে আর এই লাকসামের বাইপাস ও আসেপাশের এলাকা। লাকসাম হাউজিং, গরুবাজার, ফায়ারসার্ভিস এরিয়া, বিএস টাওয়ার, সরকারি হাস্পাতালের আশেপাশে ও জংশন এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিরবে চলছে দেহ ব্যবসা।
শুধু তাই নয়, দেহ ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন লোকদেরকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এই ভিডিও দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসছে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে৷
এমনই একজন বসবাস করতেছেন বিএস টাওয়ারের এখানে নাম তাত শিউলী। এই শিউলী আবার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের খালাতো বোন, ফুফাতো বোন, মামাতো বোন পরিচয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিএস টাওয়ারের পাশে থেকে বিভিন্ন লোকজনকে তার বাসায় ঘন্টার বিনিময়ে থাকতে দিচ্ছে এই শিউলী। লোক বুঝে তাদেরকে আটকিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।
এইদিকে লাকসাম হাউজিং এলাকায় বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে চালানো হচ্ছে এমন দেহ ব্যবসা। আর এই দেহ ব্যবসার লোভে পড়ে সর্বোচ্চ হারাচ্ছে কিছু নারী লোভী মানুষ।
পূর্বে আওয়ামীলীগের উচ্চপদস্থ নেতাদের আত্মীয় স্বজন পরিচয় দিয়ে এই ব্যবসা চালালেও সময়ের সাথে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় পরিবর্তন করে এখন বলছে বিএনপির নেতাদের নাম।
লাকসাম উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী আশা করছেন ভুক্তভোগী মানুষ।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, শিউলী তার মিষ্টি কথার আড়ালে বিভিন্ন পুরুষদের আকৃষ্ট করে। কোন প্রবাসী বা ব্যবসায়ী শুনলে মিষ্টি সুরে ২/১ দিন কথা বলে, লাকসাম বাজারের বিভিন্ন খাবার হোটেলে চায়ের আমন্ত্রন জানায়। চায়ের কাপে চুমুকের ফাকে চলে মিষ্টি কথা। আর এই চা হয়ে যায় কাল। রেস্টুরেন্ট থেকে একটু ঘনিষ্ট হয়েই বেড রুম পর্যন্ত যাওয়া মাত্রই লোক বুঝে বিভিন্ন রেটে হাতিয়ে সর্বস্ব।
পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের কাছে নিজের ইজ্জৎ বাঁচাতে গিয়ে চাহিদা মোতাবেক অংক দিয়ে দিচ্ছে ওই সব নারী লোভী লোকেরা। কেউ পারছেনা কাউকে বলতে। হেরে যাচ্ছে এমন অসংখ্য শিউলীদের কাছে।