1. admin@mannanpresstv.com : admin :
মনোহরগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় জোরপূর্বক বশতঘর ভাঙচুর, থানা ও সেনাবাহিনী বরাবর অভিযোগ। - মান্নান প্রেস টিভি
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন

মনোহরগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় জোরপূর্বক বশতঘর ভাঙচুর, থানা ও সেনাবাহিনী বরাবর অভিযোগ।

এম এ কাদের অপুঃ
  • Update Time : বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
  • ৩০ Time View
এম এ কাদের অপুঃ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ৫নং ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন এর ২নং ওয়ার্ড গারাং ভাটগাও (উত্তর পাড়া জামে মসজিদ বাড়ি)র বসু মিয়ার ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলামের ক্রয়কৃত জায়গা জোরপূর্বক দখলের নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে মারধর ও হুমকি ধমকি সহ নানান রকমের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, অভিযোগকারী মোঃ সিরাজুল ইসলাম মনোহরগঞ্জ উপজেলার ভাটরা মৌজায় জে,এল নং ৩৬৮ এর ১৪৯ নং দলিলে গত ০৮/০১/২০১৮ ইং তারিখে ২২ ডিঃ সম্পত্তি ছাবকবলা মূলে ক্রয় করে বসতঘর নির্মান করে। পরবর্তীতে তাহার দলিল বসতঘরের চৌহদ্দি অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তি কি ভাবে একটা দলিল সৃষ্টি করে নিয়ে এই জাগার মালিক দাবী করে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজুল ইসলামের প্রতিবেশি ১/ সাদেক হোসেনের ছেলে মোঃ কবির হোসেন ২/ আবদুল লতিফের ছেলে কামরুজ্জামান ৩/ বশু মুন্সির ছেলে সৈয়দ আহমেদ ৪/ সাদেক হোসেনের স্ত্রী কহিনুর বেগম ৫/ সায়েদ আলীর ছেলে সাদেক সহ অজ্ঞাত আরও ৫/৭ জন।
তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করলে সালিশের মাধ্যমে একটা মিমাংসা দিলেও উপরোক্ত বিবাদীগণ মানতে নারাজ। পরে উপরোক্ত বিবাদীগণ কোন সালিশ দরবারনা মেনে মনোহরগঞ্জ উপজেলা সেনা বাহিনীর ক্যাম্পে আমি সহ আমার স্বাক্ষীগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে, সেনাবাহিনীর একটি টিম আমার বাড়িতে এসে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আবার বিবাদীদেরকে মানাতে অক্ষম হয়। শুধু তাই নয় বিবাদী ব্যক্তিরা আরও ৫/৭ জন বহিরাগত লোক নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় তারা আমাকে ও সালিশদারদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাড়া করলে আমরা সবাই কোনো রকম প্রাণে বেঁচে যাই।
২ ও ৩ নং ব্যক্তি আবদুল লতিফের ছেলে কামরুজ্জামান ও বশু মুন্সির ছেলে সৈয়দ আহমেদ একে অপরের মধ্যে আমার জায়গা বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। শুধু তাইন নয়, এর আগে সাদেক হোসেনের ছেলে কবির হোসেন ২০২১ সালে আমার নামে কুমিল্লায় দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩৫/২০২১, মামলাটি এখনো চলমান আছে।
তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে আমি থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে মনোহরগঞ্জ থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫/৭ নামে গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এরফলে বিবাদীগণ এতই ক্ষিপ্ত হয় যার ফলে গত ৫/৫/২৫ ইং সোমবার সকাল বেলায় ২০/২৫ জনের একটি সন্তাসী বাহিনী এনে আমার বসতঘর ভাংচুর করে, ঘরে ভিতরে থাকা আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। শুধু তাই নয়, আমার ঘরে থাকা সরকারি বিদ্যুতের মিটার ভেঙ্গে ফেলে এবং সীমানার ফিলার ভেঙ্গে চুরমার করে দিলে আবারও আমি নিরুপায় হয়ে এবার মনোহরগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা আর্মি ক্যাম্পে গতকাল ৬ মে মঙ্গলবার ১/ সাদেক হোসেনের ছেলে মোঃ কবির হোসেন ২/ সায়েদ আলীর ছেলে সাদেক হোসেন ৩/ সাদেক হোসেনের স্ত্রী কহিনুর বেগম এই ৩ জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
বিবাদীদের এখন মূল লক্ষ হলো তাদের চাঁদা দিতে হবে অন্যথায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের যেকোনো সময় বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় অবশেষে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী মনোহরগঞ্জ ক্যাপের সহযোগিতা চেয়েছি। দেখা যায় শেষ পর্যন্ত ফলাফল কি আসে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Categories

© All rights reserved © 2022 mannanpresstv.com
Theme Customized BY WooHostBD