এম এ কাদের অপুঃ ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার উত্তর শীলমুড়ি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর চৌধুরীবাড়ি মৃত. সিদ্দিক চৌধুরীর বড় ছেলে কালাম চৌধুরী বিগত প্রায় চার বছর যাবত দক্ষিন আফ্রিকায় অবস্থান করছেন। দেশে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে।
গত ২৬/০৪/২৫ তারিখ দিবাগত-রাত প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা আক্তারের প্রসব বেদনা শুরু হয়। এতে ততক্ষনাৎ কুমিল্লার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানেই কন্যা সন্তান প্রসব করে। এই নিয়ে তার পরিবার এবং এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরিবারের চাপের মুখে প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা জানান তার এই সন্তান প্রসবের সকল দায়ভার পাশের বাড়ির ছাত্রলীগ নেতা,এবং সুলতানপুর বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী আরিফ। বিকাশে টাকা নেওয়া-দেওয়ার সূত্রধরে সে বিভিন্ন প্রবাসীর স্ত্রীদের সাথে এমন অসামাজিক সম্পর্ক তৈরির বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় চৌধুরী বাড়ির অনেকেই সামাজিক ভাবে বিচার চাইলে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আরিফের বড় ভাই যুবলীগ নেতা রাকিব। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা রাকিব এবং ছাত্রলীগ নেতা আরিফ এই দুইভাই বিগত ১৬ বছর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নানা অপকর্ম চালিয়েছিল। এলাকায় শালিস/বিচারের নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করাই ছিলো রাকিবের মূল পেশা।
প্রবাসী কালামের স্ত্রী ফারজানাকে ফাঁদে ফেলে রাকিব অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অনেকেই অভিযোগ করেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে রাকিব ও তার পরিবার বিএনপি-জামাতের ছত্র ছায়ায় অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
গোবিন্দপুর সমাজের প্রতিনিধি, শহিদুল এবং স্থানীয় সাংবাদিক সফিউল্লাহ সুজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
চৌধুরী বাড়ির অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রবাসী কালামের স্ত্রীর এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে আমরা লজ্জিত এবং এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।