মনোহরগন্জে নদনার খালে মাছ শিকারের মহোৎসব চলছে। পানি কমার সাথে সাথে মৎস্য শিকারীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। খালটির দুইপড়ে লখনপুর দুরগাপুর ও চড্ডা ও হাওরা অংশে দলে দলে মানুষ মাছ ধরছে।
.
খালটির দুই পাড়ের বাসিন্দারা জানায়, ‘একসময় এ নদনার খালটি পুরো বছর বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেত। কালের বিবর্তনে খালটি সংকুচিত হওয়ায় এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায়না।’ চলতি শীত মৌসুমেই খালটির বিভিন্ন স্থান শুকিয়ে যেতো এখন কোথাও কোথাও অনেক পানি হয় কোমর সমান পানি। তেমনি দুরগাপুর এলাকাতে ও একই অবস্থা বিরাজমান।
.
মনোহরগন্জে উপজেলার হাওরা ও চড্ডা দূরগাপুর ও এলাকায় নদনার খালটিতে শতাধিক মানুষ মাছ ধরার মহোৎসবে অংশগ্রহণ করে। মাছ ধরার এমন দৃশ্য সকলের নজর কেঁড়েছে। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল।
‘মাছ পাওয়া থেকেও উৎসবে অংশ নেয়াটাই ছিল বেশি আনন্দের,’ জানালেন কয়েকজন মৎস্য শিকারী। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম ছিলনা তারাও নদীতে নেমে উৎসবে অংশ নেয়। তাদেরকে খালি হাত দিয়েই কাদার মধ্যে মাছ খুঁজতে দেখা যায়। মাছ ধরা শেষে মৎস্য শিকারীদের উল্লসিত দেখা গেছে।
.
প্রায় প্রত্যেকেই কমবেশি মাছ শিকার করেছেন বলে জানান। নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, নদনার খালে পলো দিয়ে মাছ ধরার আনন্দটা ছিল ব্যতিক্রম। মাছ পাওয়া থেকেও উৎসবে অংশ নেওয়াটা ছিল সবার কাছে আনন্দে ময়
.
চড্ডার মোঃ আজিম অদিন বাহার বলেন, ‘বৃহত্তর এইখালটি ঐতিহ্য নদনার খালটি পানি সেচ কাজে ব্যবহৃত হয়। এ খালটিতে যে মাছ পাওয়া যায় তা খুবই সুস্বাদু।’
.
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয় লাকসাম, মনোহরগঞ্জের ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি নদনার খালটি খননের উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে পানি সম্পদ সচিব নদনার খাল পরিদর্শন করেছেন। খনন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন পূর্বের ন্যায় নদনার খালের নাব্যতা ও জৌলুস ফিরে আসছে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
.
এলাখাবাসী মনে করেন ঐতিহ্যবাহী নদনার খালটি উদ্ধার ও পূণঃখনন করেন নাব্যতা ফিরিয়ে আনেন দুই পাড় বাধাই করে পর্যটন স্পট তৈরী করলে বিভিন্ন এলাখার ও শহরের বাসিন্দাদের বিনোদনের অভাব দুর হবে কিছুটা হলেও আমি মনে করি মনু ভাই চড্ডা