চাঁদপুরে জেলেদের জাটকা ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য ৪.১ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তার চাল আত্মসাৎ মামলায় কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি এই মামলায় ১ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান। উচ্চ আদালত জামিন দেওয়ার পাশাপাশি মামলাটি নিম্ন আদালতে শুনানির জন্য নির্দেশ দেন।
রবিবার দুপুরে মামলার ধার্য তারিখে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান মামলার শুনানি শেষে আসামিকে জেলেদের খাদ্য সহায়তার ৮২ বস্তা (৪.১ মেট্রিক টন) চাল আত্মসাৎ করার কারণে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৮ মে সকালে কল্যাণপুর ইউনিয়নে নিবন্ধিত ৬৭১ জন জেলের চাল বিতরণ করার সময় পরিষদের দুটি গোডাউনে বরাদ্দকৃত ৫৩.৬৮ মেট্রিক টন চালের স্থলে ৪৯.৬০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যায়। ৪.১ মেট্রিক টন চাল কম থাকায় তাৎক্ষণিক বিতরণ কাজে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজকে জানান। ওইদিনই মডেল থানায় তিনি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনিকে আসামি করে মামলা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ও পুলিশের উপস্থিতিতে চালের দুটি গোডাউন সিলগালা করা হয়।
চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি রনজিৎ রায় চৌধুরী জানান, মামলার নিয়মিত তারিখে আসামি সাখাওয়াত হোসেন রনি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হলে মামলার শুনানি শেষে রনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, আহসান হাবীব ও জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।