ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘শহরের প্রতিটি রাস্তা অটোরিকশায় সয়লাব। একেকটা অটোরিকশাতে ৪টি করে ব্যাটারি থাকে। সারাদিন চালানোর পর এগুলোকে সারারাত ধরে চার্জে রাখা হয়। এগুলো বিদ্যুৎ বিধ্বংসী। এতে প্রচুর বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। পাশাপাশি অটোরিকশাগুলোতে দুর্ঘটনাও ঘটছে।’
তিনি বলেন, ‘এ শহরে আগে প্রচুর পায়েচালিত রিকশা চলত। এখনও চলে। আমরা তো পায়েচালিত রিকশা বন্ধ করে দিচ্ছি না। যে অটোরিকশা চালাত সে পায়েচালিত রিকশা চালাবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনের হলরুমে পরিষদের ১৫তম করপোরেশন সভার (বাজেট সভা) সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বিদ্যুতের ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে এনেছে। প্রয়োজনীয় বাতি ছাড়া সব বন্ধ থাকছে। এসিও বন্ধ থাকছে। যেসব কক্ষে এসি একান্ত প্রয়োজনে চালাতে হচ্ছে সেগুলোর টেম্পারেচার ২৫ এর নিচে নামানো হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সময় এসেছে। শুধু আমরা নই, বিশ্বব্যাপী উন্নতদেশগুলোও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেটা তারা করছে।’
এ সময় তিনি ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশা বন্ধ করে সরকারকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সহযোগিতার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বাজেট সভায় হল রুমের ২০ শতাংশ লাইট ব্যবহার করে বাজেট উপস্থাপন করা হয়। এসিও চালু ছিল ৫০ শতাংশ। সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।