পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এক যুবককে মেরে পুকুরে পেলে দেয়ার অভিযোগে মেম্বার শাহজাহান শাহীনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন রুবেল মাহমুদ নামে এক মোটরসাইকেল মেকানিক। গত শুক্রবার উপজেলান হাসনাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপুর গামে এই ঘটনা ঘটে। ঐ দিন রাত সাড়ে এগারোটার দিকে রুবেল বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান মেম্বার শাহজাহান শাহীন অরপে (শাহিন মেম্বার)ও তার দুই ছেলে স্বপন ও আলাউদ্দীন অন্তর মিলে পেছন দিক থেকে রুবেলের উপর অতর্কিত হামলা করে পেটাতে থাকে একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানিতে পেলে দেয়। পরে রুবেলের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনোহরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে । এ ব্যাপারে রুবেল বলেন, শাহীন একজন সন্ত্রাসী তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তার বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ সাহস পায় না। রুবেল আরো বলেন একসময় আমি শাহীনের ছেলে বর্তমানে প্রবাসী মহিউদ্দীন কাননের সাথে নারায়ণগঞ্জে থাকতাম একদিন কানন উধাও হয়ে গেলে শাহীন আমার বিরুদ্ধে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় জিডি করে। জিডির তদন্তে করতে গিয়ে অজ্ঞাতনামা একটি লাশ পাওয়া গেলে শাহীন ওই লাশকে তার ছেলে দাবি করে আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আমি জেলে যাওয়ার কয়েকদিন পরেই তার ছেলে কানন বাড়িতে ফিরে আসে। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলেও শাহীন তখন আমার মামলা না তুলে অপহরণের অভিযোগ তুলে হয়রানি করতে থাকে। প্রায় পাচ বছর আমাকে হয়রানি করার পর গত বছর আমি ওই মামলা থেকে অব্যহতি পাই। পরবর্তীতে শাহীন ভবিষ্যতে আমাকে হয়রানি করবেনা বলে আদালতে অঙ্গীকার প্রদান করে। রুবেল আরো বলেন আমি জেলে থাকাবস্থায় শাহীনের ছেলে কানন আমার প্রথম স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করে তাকে বাগিয়ে নিয়ে যায়। এনিয়ে আমি থানায় জিডি করলে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। ঘটনার দিন আমি দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় শাহীন তার ছেলে সপন ও অন্তর মিলে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশে হামলা করে, গ্রামের লোকজন এগিয়ে না আসলে হয়তো সেদিন আমি পুকুরের পানিতে মরে পড়ে থাকতাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শাহীন মেম্বার হওয়ার পর থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে তার ভয়ে তটস্ত থাকে সবাই। নামপ্রকাশে অনেচ্ছুক অনেকে বলেন শাহীন এবং তার দুই ছেলের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়না, কারণ তাদের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। কখন কার উপর হামলা করে বসে এই ভয়ে থাকে সবাই। তারা শাহীন ও তার ছেলেদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। এ ব্যাপারে শাহীন বলেন ঘটনার সময় আমি ছিলাম না, তবে তিনি তার এক ছেলে রুবেলকে মারার কথা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে মনোহরগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা সেকেন্ড অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়েছেন।