মহাকালের স্রোতে ভেসে চলা নব দিগন্তের অন্তিম কোনে রেখো আমায়;
তোমার রাজপ্রাসাদের ব্যালকনিতে ফুটে যাওয়া রক্ত জবা, গোলাপ, বেলি আর হাসনাহেনার সৌরভ ছড়াক দিনময়।
নির্ভেজাল অনুভূতির চাপা দীর্ঘশ্বাস, উৎকন্ঠিত শিহরণ, আর এক বুক ভালোবাসায় জড়িয়ে রেখো চিরকাল।
আমি চাই না তোমার অবহেলা, যে মায়ার সাগরে ভেসে চলেছো সেই স্রোতে ভেসে যাবো অনন্তকাল।
তোমার রক্তের শিরায় শিরায় প্রবাহিত হবে আমার ভালোবাসার শেষ ছোঁয়াটুকু।
জেনে রেখো প্রিয় —-
তোমার নীরব চোখের চাহনীতে আমার প্রণয় সাগরে উত্তাল ঢেউ ওঠে, তোমার টুকরো টুকরো ভালোলাগা গুলো আমার হৃদয় আয়নাতে ফুল ফোটে।
তোমার না বলা কথাগুলো আমার গভীর অনুভূতিতে অভিসার নামে;
তোমার নন্দিত কথার সরোবরে গোলাপি পদ্ম ফোটে।
তোমার চঞ্চলা উদাসী প্রেমের হাওয়ায় আমার একলা আকাশে বৈশাখী ঝড় তোলে।
তোমার মায়াময় হৃদয় হরণ করা চোখে গোধূলির আলো-ছায়ে বৃষ্টি মুখর সন্ধ্যা নামে, তোমার সুরভিত কন্ঠে যেন মুক্ত ঝরে।
জীবন চলার পথে হারিয়ে যায় কতো কথা, কতো ব্যথা, কতো স্মৃতি;
তবুও জীবন খাতায় কিছু অদেখা, অজানা ভালোলাগা ভালোবাসার গীতি মিশে থাকে গোধূলির অনুভবে।।
ঢাকা বনশ্রী