1. admin@mannanpresstv.com : admin :
বিএনপির সঙ্গে নেই জামায়াত - মান্নান প্রেস টিভি
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

বিএনপির সঙ্গে নেই জামায়াত

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২
  • ৮২ Time View

ডা. শফিকের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, বিএনপি বলছে ওরা আগে থেকেই নেই, উইকেট পড়ে গেছে মন্তব্য আওয়ামী লীগের

১৯৯৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াতের একসঙ্গে পথচলার অবসান হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে আর জোটে নেই জামায়াত। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক ভিডিও বক্তব্যে জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তার এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জামায়াত আরও অনেক আগে থেকেই বিএনপির সঙ্গে নেই। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপির জোট থেকে বড় উইকেট পড়ে গেছে। তবে শফিকুর তার বক্তব্যে এও বলেছেন, জাতীয় স্বার্থে একই দাবিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচি পালন করবে।

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে বিএনপির সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের জোট ভেঙে যাওয়ার কথা জানান। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পর্ষদে রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এতদিন একটা জোটের সঙ্গে ছিলাম। আপনারা হয়তো ভাবছেন কী হয়ে গেল কারণ কী? হ্যাঁ হয়ে গেছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২০ দলীয় জোট দেশের জন্য একটা উপকারী জোট ছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই জোট তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে এবং সেইদিন বাংলাদেশ পথ হারিয়েছে। আর পথে ফিরে আসেনি। একই সঙ্গে জামায়াত ১৬১ আসনে তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। বর্তমান সময়ে জামায়াত আমিরের জোট ছাড়ার ঘোষণা এবং ১৬১ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। জামায়াত আমির ভিডিও বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেন, বিএনপির উচ্চপর্যায়ে তাদের বৈঠক ও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং সেখানে বিএনপি জোট কার্যকর না রাখার বিষয়ে স্বীকার করেছে। তিনি বলেন, প্রধান দল (বিএনপি) এই জোটকে কার্যকর করার ব্যাপারে কোনো চিন্তা নেই। তাদের যদি চিন্তা না থাকে, এটা আমরা বলব, এটা হবে না। এই বিষয়টা এখন আমাদের কাছে স্পষ্ট দিবালোকের মতো পরিষ্কার এবং তারা আমাদের সঙ্গে বসে এটা স্বীকার করেছে। ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে মতাদর্শিক ভিন্নতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের একটা জোটের সঙ্গে আমরা যদি কেয়ামত পর্যন্ত থাকি, এ জোটের মাধ্যমে দ্বীন কায়েম করা অসম্ভব। প্রধান দলের একজন বড় নেতা তো বলেই দিয়েছেন ‘আমরা শরিয়াহ আইন সমর্থন করি না’। অতএব তার সঙ্গে থেকে আমি কীভাবে শরিয়াহ আইন করব? তবে জামায়াত আমির বলেন, জাতীয় স্বার্থে একই দাবিতে আমরা যুগপৎ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব। এগুলো খোলামেলা। আমরা আলোচনা করেছি, এর সঙ্গে তারা (বিএনপি) ঐকমত্য পোষণ করেছেন। নতুন কোনো অ্যালায়েন্স উনারা করবেন না, বাস্তবতাও নেই। এখন যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে সবাই চেষ্টা করবে। গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির বড় উইকেট পড়ে গেছে, জামায়াতে ইসলাম বলেছে বিএনপির সঙ্গে তারা আর নেই। বিএনপি নৈরাজ্য করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, নৈরাজ্য করলে ছাত্রলীগ বসে থাকবে না।

বিএনপির নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে দলে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার দাবি উঠছিল। বছরখানেক আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অধিকাংশ সদস্য জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার বিষয়ে মতামত দিয়েছিলেন। নানা কারণে এর বাস্তবায়ন হয়নি। তবে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

জামায়াত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ত্যাগ করেছে কি না জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু  বলেন, জামায়াত তো বলে দিয়েছে আমাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে এবং ঐকমত্য পোষণ করেছে। তারা আর কোনো জোট করবে না। এখানে আর বলার কী আছে। তারা অনেক আগে থেকেই আমাদের সঙ্গে নেই।

এ প্রসঙ্গে জামায়াতের এক দায়িত্বশীল নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০-দলীয় জোট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অফিশিয়াল কোনো ঘোষণা আমরা দিইনি। এ জাতীয় কোনো বক্তব্য আমাদের দলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। তাহলে জামায়াতের আমিরের বক্তব্য সম্পর্কে  জানতে চাইলে তিনি বলেন, জোট ছাড়তে হলেও দলে সভা বা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হয়। কিন্তু দলের মধ্যে এ ধরনের কোনো সভা বা আলোচনা হয়নি।

জামায়াতের সূত্রের দাবি, ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় জামায়াতের এক নেতার ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পুরানা পল্টনে জামায়াতের সমাবেশে হামলা ও দলটির অনুসারী কয়েকজনের মৃত্যুর জন্য বিএনপি দায়ী’ এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই জামায়াত বাংলাদেশকে আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। এসবই জামায়াতের ফাজলামি। তার এই বক্তব্যের পর জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীদের কথার বাহাস চলে। এরপর ২০২২ সালের ২ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতীকী অনশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মারধরের শিকার হন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলসহ কয়েকজন কর্মী। এই দুই ঘটনার পর থেকে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব আরও বাড়ে। যার ফলে জামায়াতের আমির জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Categories

© All rights reserved © 2022 mannanpresstv.com
Theme Customized BY WooHostBD