এখন তো আমি সেই আমি নেই
কোথায় হারালো দিন গুলো সেই,
বৈশাখের ঝড়ে আম কুড়াতাম বন্ধরা মিলে
সেই কথা গুলো শুধুই স্মৃতিতে দোলে।
বিয়ে বিয়ে খেলতাম পুতুল খেলার ছলে
কলা পাতা দিয়ে ঘর বানিয়ে তার তলে,
কখনো ভিজে গেছি বৃষ্টির জলে
স্বামী সেজে খেলার সাথী কে ডাকতাম বউ বলে।
কদম ফুলের তোড়া বানাতাম মনের মাধুরি মিশিয়ে
বকুল ফুলের মালা গাঁথতাম বান্ধবীদের নিয়ে,
অনেকেই পারতো না দিতাম শিখিয়ে
কেউ বা পড়ে যেতো পা পিছল খেয়ে।
বেলি ফুলের গাছের নিচে থাকতো ফুল পড়ে
তাড়াতাড়ি করে কুড়িয়ে নিতাম ধরাধরি করে,
মায়ের কাছে আবদার করে সুঁই-সুতো আনতাম চেয়ে
মালা গেঁথে পড়াতাম থাকতো যারা মেয়ে।
অনেক সময় করতাম মালা বদল
ঘুরতাম দু’জন দু’জন করে সাত পাকে,
যদিও ছিল তা হিন্দু ধর্মের আদল
দেখাদেখি করে করতাম এইগুলো কে জিজ্ঞেস করতো কাকে।
গাঁদা ফুলের মালা গেঁথে দিতাম উপহার
যে না পেতো তার মন করতো হাহাকার,
কথা গুলো আছে মনে শুধু নীরব নির্বিকার
তা-ই তো হতে হয়েছে আজ যাযাবর।
মন কেঁদে উঠে ঘুমের ঘোরে
পাশের রুমের স্বজনরা আছে দৌড়ে,
প্রশ্ন করে কি হয়েছে বল খুলে
কিছুই জানি না সব গেছি তো ভুলে।
এ-ই বলেই বাঁচা যায় প্রশ্নের রোষানল থেকে
সেই সব বন্ধু বান্ধবীর কেউ চেনে না কাউকে,
অত্যাধুনিকতার ছোঁয়ায় জীবনে চলার পথে ধরেছে বাঁক
আর-ও স্মৃতি গুলো আজ না হয় এখানেই থাক।