হঠাৎ করে মেঝেতে ফেলে ছোটো সাহেব আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে.বুকের ওপর থেকে আঁচল টা সরাতেই বড় মায়ের গলা শুনে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে.
বড় মা ঘরে ঢুকে বললো “মা তুই মেঝেতে পরলি কি করে?”
ছোটো সাহেব বললো “চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে ঘুরলে এমন দশাই হবে”
আমি আজ তার কাছ থেকে বেঁচে গেলাম ভাগ্যের জোড়ে.খুব মনে পরছে বাবাকে জানি না সে কবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে?
বড় বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে বললো “কি হয়েছে মা?মন মরা লাগছে কেন তোকে?”
বড় মায়ের বান্ধবী হেনা আন্টি মা কে বললো “মেয়ে টাকে দু’দিনের জন্যে কাজ করতে পাঠায়ে দিস আমার বাসাতে”
চিন্তা নেই দু’দিনের মাসমাইনে হিসেব করে দিয়ে দিবো ওকে.
বড় বাবা চোটে গিয়ে বললো “ও আমার বাড়ির মেয়ে কাজের মেয়ে না ঠিক আছে?”
বড় মা বললো “হেনা এই কথাটা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নে,যে ও আমার দেবরের মেয়ে”
হঠাৎ,
ছোটো সাহেব এসে বললো “বারবার কাজের মেয়ে ভেবে ভুল করলে ওর পরিচয় টা বদলে যাবে না ঠিক আছে?
হেনা আন্টি আপনি প্লিজ আসুন দয়া করে”
আর তুই কি বসে থাকবি?
গিয়ে চিকেন ফ্রাই কর আমার জন্যে.
হেনা আন্টি বললো “সে যার মেয়েই হোক,তোমরা ভুগবে এর জন্যে”
ছোটো সাহেব বললো “আন্টি শকুনের অভিশাপে আজ অব্দি গরু মরেনি বু্ঝলে?
দুপুরে গোসল করার সময়ে দেখি,
দুটো চোখ স্থির হয়ে চেয়ে আছে আমার দিকে.সাথেসাথে বাথরুম থেকে বেড়িয়ে বারান্দায় গিয়ে দেখি কেউ ছিলোনা সেখানে.
হঠাৎ ছোটো সাহেব এসে চোখ এসে রাঙিয়ে বললো “আজ কি চিকেন ফ্রাই জুটবে?”
বেশি করে বানা,
আমার বন্ধুরা এসেছে.
রান্না ঘরে বড় মা আমার কপালে চুমু খেয়ে বললো “মা কিছু মনে করিস না নবাবজাদার আচারনে.তুই তো ছোটোবেলা থেকেই জানিস ওকে”
বাদ দাও না মা ঠিক আছে.আসলে বিদেশি হাওয়া লেগেছে.
হলে যেতেই বন্ধুদের সামনে আমার হাত ধরে বললো “নবাবজাদী হয়ে ঘুরিস না ঠিক আছে?”
ছোটো সাহেব মৃদু হেসে বললো “আমার পার্সোনাল কাজের মেয়ে”
বেবি তুমি তো আগে কখনো বলনি ওর ব্যাপারে?
এশা বাদদেও না,যা নিয়ে আয় চিকেন ফ্রাই সবার জন্যে.
ইমা বললো “আজকাল ভাইয়ার ব্যাপারস্যাপার কিছুই বুঝিনা?ও যে কি চায়?ও নিয়ে ও জানে না”
খেতে-খেতে বললো “আমার পাশে এসে দাঁড়া”
দাঁড়াতেই উঠে গায়ে হাত-মুখ মুছতে শুরু করেছে.এ কোন জ্বালা?